সিএমপি নগরজুড়ে রোবাস্ট পেট্রোলিং পরিচালনা করছে
চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার কৃষ্ণপদ রায় বলেছেন, ৭ জানুয়ারি নির্বাচন সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে যেন সম্পন্ন হয়, সেজন্য আমাদের প্রস্তুতি চলছে। ইতিমধ্যে আমরা নগরজুড়ে অপরাধ দমনে রোবাস্ট পেট্রোলিং পরিচালনা করছি। আমাদের সঙ্গে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন যুক্ত হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে স্থায়ী এবং অস্থায়ীভাবে চেকপোস্ট বসিয়েছি।
তিনি বলেন, নগরের ৬০৭টি কেন্দ্রে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেগুলো সম্পর্কে আমাদের বিভিন্ন সময়ে পর্যালোচনা হয়েছে। সরেজমিনে আমাদের কর্মকর্তারা কেন্দ্রগুলো পরিদর্শন করেছেন। আমরা একবার ফাইনালি কেন্দ্রগুলোর অবস্থান এবং কোন কেন্দ্রে কী ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিতে হবে সেটার সর্বশেষ পর্যালোচনা করতে মাঠে নেমেছি। আমরা ঘুরে দেখছি, সে অনুযায়ী নিরাপত্তা ব্যবস্থা সাজানো হবে।
সোমবার (১ জানুয়ারি) দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন-২০২৪ উপলক্ষে নগরীর বিভিন্ন নির্বাচনী ভোটকেন্দ্র সরেজমিনে পরিদর্শন পরবর্তী নগরের জামালখান ডা.খাস্তগীর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
অবৈধ অস্ত্রের বিরুদ্ধে অভিযান চলমান রয়েছে জানিয়ে কৃষ্ণপদ রায় বলেন, বৈধ অস্ত্রের ব্যাপারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আমরা পরিপত্র পেয়েছি। সে অনুসারে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর থেকে আগামী ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত বৈধ লাইসেন্সধারী অস্ত্র ব্যবহারকারী যারা আছে, তারা বহন এবং প্রদর্শন করতে পারবেন না। করলে অস্ত্র আইনে তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সিএমপি কমিশনার বলেন, ভোটকেন্দ্রে সকালে ব্যালট যাবে। মহানগরে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র আছে- আমি তা বলবো না। তবে ভোটারে আধিক্য, নানা ধরনের ভোটার, এক ভেন্যুতে একাধিক কেন্দ্র বা কোনো কোনো কেন্দ্র বিশেষ অবস্থানে আছে। আমরা যেখানে দাঁড়িয়ে আছি- খাস্তগীর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়; এটিও আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এখানে ভোটার যেমন বেশি আছেন, এটি নগরের কেন্দ্রস্থলে এবং এখানে অবজারভার ও মিডিয়া কর্মীর উপস্থিতি বেশি থাকবে। সুতরাং ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে গুরুত্ব কম-বেশি হয়। এভাবে আমরা মহানগরের ৬০৭টি কেন্দ্রের মধ্যে ৪৪৬টিকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করেছি। সেগুলোতে আমাদের ফোর্সের ব্যবস্থাপনা এবং উপস্থিতি একটু বেশি থাকবে।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে ৪ হাজার ৫০০ জন অফিসার ও ফোর্স মাঠে থাকবে জানিয়ে কৃষ্ণপদ রায় বলেন, পাশাপাশি আমাদের সঙ্গে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে বিজিবি যুক্ত হয়েছে। তারা রাস্তায় টহল দিচ্ছে। আমাদের সঙ্গে আনসার সদস্যরা থাকবেন, তারা কেন্দ্রভিত্তিক আমাদের সঙ্গে কাজ করবেন। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুসারে ‘এইড টু সিভিল পাওয়ার’ হিসেবে সেনাবাহিনীর সদস্যরাও নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে যুক্ত হবেন। নগরের প্রবেশ মুখগুলোতে চেকপোস্ট ও নিয়মিত তল্লাশি চালানো হচ্ছে। এছাড়া নগরের বিভিন্ন থানায়ও চেকপোস্ট ও নিয়মিত তল্লাশি চালানো হবে।