কক্সবাজারচট্টগ্রাম

সীমান্তের ওপারে দু’দিন ধরে চলছে গোলাগুলি, আতঙ্কে মানুষ

কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফ ও তুমব্রু সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারে সেদেশের সেনাবাহিনী ও বিদ্রোহীদের মধ্যে গত দু’দিন ধরে চলছে গোলাগুলি। এ সময়ে সীমান্তের কাছে উড়তে দেখা গেছে হেলিকপ্টারও। এ ঘটনায় সীমান্তের পাশে বসবাসকারী মানুষের মধ্যে দেখা দিয়েছে আতঙ্ক।

উখিয়ার পালংখালি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন বলেন, পালংখালির আনজুমান পাড়া সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারে সে দেশের সেনাবাহিনী ও বিদ্রোহীদের মধ্যে চলমান গোলাগুলির ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। দুপুরের দিকে দেখা গেছে দুইটি হেলিকপ্টার থেকে ছোড়া হচ্ছে বোমা। স্থানীয়রা ভয়ে চিংড়ি ঘের ও জমিতে যেতে পারছে না।

হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর আহমদ আনোয়ারী জানান, গত শনিবার ও রবিবার টেকনাফের হোয়াইক্যং উলুবনিয়া সীমান্তের ওপারে গোলাগুলির ঘটনায় সীমান্তের কাছে বসবাসকারী মানুষের মধ্যে দেখা দিয়েছে আতঙ্ক। এর মধ্যে উলুবনিয়া গ্রামের নুরুল ইসলামের বসতঘরে এসে পড়লো গুলি। একই গ্রামের সীমান্তের কাছে জমিতে পড়লো মর্টার-শেল। দিনে ও রাতে থেমে থেমে গোলাগুলির শব্দ এপারে ভেসে আসছে। রবিবার দুপুরের দিকে হোয়াইক্যং উলুবনিয়া ও উত্তর পাড়া সীমান্তের কাছে কয়েকটি হেলিকপ্টারও উড়তে দেখা গেছে।

তিনি বলেন, এ ঘটনায় নতুন করে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঘটনার সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সঙ্গে বিদ্রোহীরাও ঢুকতে পারে। তবে এ ব্যাপারে বিজিবিসহ স্থানীয়রা সতর্ক রয়েছেন।

হোয়াইক্যং উলুবনিয়া জামান সখিনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হোসেন আলী সিকদার বলেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘাতের কারণে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে আসতে ভয় পাচ্ছে।

ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান একে এম জাহাঙ্গীর আজিজ জানান, মিয়ানমারের গোলাগুলির আওয়াজ নিয়মিত শুনা যায়, এতে স্থানীয় বাসিন্দারা প্রতিনিয়ত আতঙ্কে থাকে।

কক্সবাজার ব্যাটালিয়ন ৩৪-বিজিবির অধিনায়ক কর্নেল মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘর্ষের জেরে গত ২৭ জানুয়ারি ১৩টি মর্টার শেল এবং ১ রাউন্ড বুলেট বাংলাদেশের অভ্যন্তরে এসে পড়ে। উক্ত ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে বিজিবির পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক প্রতিবাদলিপি পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও সীমান্ত এলাকায় সতর্কতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *