কক্সবাজারচট্টগ্রাম

সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে রোহিঙ্গা নিহত

কক্সবাজারে টেকনাফ নাফ নদী সীমান্তে ‘মিয়ানমার অভ্যন্তরে’ মাইন বিস্ফোরণে এক রোহিঙ্গা নিহত হয়েছে। নিহত রোহিঙ্গা মোহাম্মদ আয়াছের আনুমানিক বয়স ২৫ বছর।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) দুপুরে টেকনাফ থেকে অজ্ঞাত পরিচয়ের একব্যক্তি সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে আহত হওয়ার তথ্য দিয়ে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসে।

কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) মো. আশিকুর রহমান জানান, মঙ্গলবার দুপুরে টেকনাফ থেকে অজ্ঞাত পরিচয়ের একব্যক্তি সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে আহত হওয়ার তথ্য দিয়ে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসে। তারা শুধু আহত ব্যক্তির নামটি বলেছে। কিন্তু হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। মাইন বিস্ফোরণে নিহত রোহিঙ্গার ডান পায়ের গোড়ালি সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। নিহত রোহিঙ্গাকে হাসপাতালে পৌঁছানোর পরপরই নিয়ে আসা অজ্ঞাত পরিচয়ের ব্যক্তি সটকে পড়ে। সে হাসপাতালের তথ্য দিয়েছিল টেকনাফের নাফ নদী সীমান্তের ওপারে মিয়ানমার অভ্যন্তরে মাইন বিস্ফোরণে মোহাম্মদ আয়াছ আহত হয়েছিল। তবে তিনি কীভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন তা বলার আগে ওই ব্যক্তি পালিয়ে যান। নিহত ব্যক্তির বিস্তারিত ঠিকানা, বাংলাদেশের কোনো রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আশ্রিত নাকি মিয়ানমারে অবস্থানকারী রোহিঙ্গা এ ব্যাপারেও কোন তথ্য মিলেনি। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

এ ব্যাপারে টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)) মুহাম্মদ ওসমান গনি বলেন, এ ধরনের কোনো ঘটনা আমার জানা নেই। আর সীমান্তের বিষয়গুলো বিজিবি দেখেন।

উল্লেখ্য, গত ২২ জুন টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং সীমান্তের ওপারে মাইন বিস্ফোরণের ঘটনায় আনোয়ার নামের মিয়ানমারের এক রোহিঙ্গার পা বিচ্ছিন্ন হয়। তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতাল ভর্তি করা হলে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *