চট্টগ্রাম

হকারদের ‘মুখোমুখি’ হননি মেয়র রেজাউল

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বরাবরে ৬ দফা দাবির স্মারকলিপি দিয়েছেন নিউমার্কেট এলাকা থেকে ‘বিতাড়িত’ হকাররা। তবে মেয়রের মুখোমুখি হতে পারেননি তারা, স্বহস্তে তা গ্রহণ করেননি মেয়র। মেয়রের বদলি হওয়া একান্ত সচিব আবুল হাশেম এবং প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম তাদের সঙ্গে সাক্ষাত করেন। তবে মেয়র কিংবা করপোরেশনের পক্ষে কোন বার্তা তাঁরা দেননি।

বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টার দিকে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন কার্যালয়ে হকারদের ১০ জন প্রতিনিধিদল এ স্মারকলিপি দেন। এর আগে বেলা ১২টার দিকে নগরের টাইগারপাসে নগর ভবনে চসিক মেয়রের কার্যালয়ের উদ্দেশে রওনা দেয় হকাররা। টাইগারপাসের মুখে পুলিশ তাদের গতিরোধ করে। পরে স্মারকলিপি পৌঁছে দিতে ‘মধ্যস্ততা‘ করে পুলিশ। ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল নগর ভবনে পৌঁছে দেয়। তারা স্মারকলিপি তুলে দেন।

‘একজন হকার যদি একদিন ব্যবসা করতে না পারে তাহলে পরিবার-পরিজন নিয়ে না খেয়ে থাকবে’— চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়রকে সেই ‘বুলি’ স্মরণ করিয়ে দিতেই আজকের এই কর্মসূচি বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম ফুটপাত হকার্স সমিতির সভাপতি নুরুল আলম লেদু।

সিভয়েস২৪-কে তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রামের হকার শ্রমিকদের প্রতিনিধি হয়ে আমরা সংক্ষিপ্ত প্রতিবাদ সমাবেশ শেষে মেয়রের কাছে স্মারকলিপি দিতে গিয়েছিলাম। দুর্ভাগ্যজনক আমাদের। উনার সঙ্গে দেখাই হলো না।’

হকার নেতা নুরুল আলম লেদু আরো বলেন, ‘মেয়র মহোদয় গত ৭ তারিখ আমাদের উঠিয়ে দেওয়ার পর আমরা শান্তিপূর্ণভাবে চেষ্টা করছি ওনার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে। আজকে সবশেষ ওনার কাছে আমরা যে কথাটা বলতে চেয়েছি— রমজান মাস সিয়াম সাধনার মাস। এ মাসে হাজার হাজার মানুষের কর্মের জায়গাটা-ঠিকানাটা উচ্ছেদ করে দিয়েছে। ওনি নগর পিতা হিসেবে আমাদের দিকে সহৃদয়ে দৃষ্টি দিবেন। এ জিনিসটুকু বোঝানোর জন্য আমরা স্মারকলিপি নিয়ে ওনার কাছে গেছি, তাও দুর্ভাগ্য। ওনার সচিবের মাধ্যমে আমাদের স্মারকলিপিটা গ্রহণ করেছেন। তাদের (সচিব) পক্ষ থেকেও কোনো ধরনের সিদ্ধান্ত জানতে পারিনি। আমরা এখনও বিশ্বাস করতে চাই, আশায় বুক বেঁধে আছি।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *