চট্টগ্রামরাজনীতি

হকার্স লীগের ৩৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা

চট্টগ্রামে কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশ নেওয়ায় এক দোকান কর্মচারী কিশোরকে মারধর এবং প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগে মামলা হয়েছে। মামলায় মেট্রোপলিটন হকার্স মালিক ও হকার্স লীগের ৩৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ২০ থেকে ৩০ জনকে আসামি করা হয়।

সোমবার (২৬ আগস্ট) রাতে নগরের কোতোয়ালী থানায় বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন ভুক্তভোগী কিশোরের মা রাশেদা বেগম। তবে বিষয়টি জানাজানি হয় বুধবার।

ওই কিশোরের নাম সাকিবুল ইসলাম (১৭)। তিনি রিয়াজউদ্দিন বাজার তামাকুমন্ডি লেইন জানু ম্যানশনের ঐশী টয় কালেকশন নামে একটি দোকানের কর্মচারি। তিনি কক্সবাজার জেলার চকরিয়া থানার হারবাং গ্রামের নাজিম উদ্দিনের ছেলে।

মামলার আসামিরা হলেন—মো. ইয়াছিন এরফান, মো. মাহফুজুল ইসলাম মিরাজ, মো. সালাম, মো. রাকিব, আবু বক্কর প্রকাশ ছিরা বক্কর, মো. আলী, মো. শাহজাহান শামি, সেকান্দর আলম চৌধুরী, আক্তার কামাল, একরামুল হক চৌধুরী, মো. শাহীন আহমেদ, মো. জসিম উদ্দিন, সোহেল সাব্বির, ফয়েজ আহমেদ, মো. সেলিম, মো. শাহ আলম ভুঁইয়া, আব্দুল আহাদ, মেট্রোপলিটন হকার্স মালিক সমিতির সভাপতি মিরন হোসেন মিলন, ফুটপাত হকার সমিতির সভাপতি নুরুল আলম লেদু, অর্থ সম্পাদক শাহ আলম, সাধারণ সম্পাদক তারেক হাউদার, হকার্স লীগের সভাপতি প্রবীর ঘোষ, সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ জনি, যুগ্ম সম্পাদক মো. শফি, বাচ্চু মিয়া, সালা উদ্দিন, মো. রফিক, মো. মিনার, মো. মহিম, শাকিল, জাহেদ, সালাম, অটো টেম্পু শ্রমিক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম খোকন, মো. দুলালসহ অজ্ঞাতনামা ২০ থেকে ৩০ জন।

মামলার এজাহারে সাকিবুলের মা রাশেদা বেগম উল্লেখ করেন, তাঁর ছেলে সাকিবুল ইসলাম রিয়াজউদ্দিন বাজার তামাকুমন্ডি লেইন জানু ম্যানশনের ঐশী টয় কালেকশন নামক দোকানের কর্মচারি। সে কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রথম থেকে বিভিন্ন মিছিল-মিটিংয়ে অংশগ্রহণ করেছে। সেসময় থেকেই আসামিরা তাকে টার্গেট করে রাখে এবং বিভিন্ন মাধ্যমে ছবি তুলে রাখে। গত ২০ আগস্ট ভোরে সাকিবুল তার দুই বন্ধুসহ ফজরের নামাজ পড়তে যাওয়ার সময় মো. আলী, সেকান্দর আলম এবং মিরন হোসেনের নেতৃত্বে অন্যান্য আসামিরা পথরোধ করে। একপর্যায়ে তাদের কয়েকজন সাকিবুলকে মারধর করে।

এ সময় আসামিরা ছোরা এবং লোহার রড দিয়ে সাকিবুলের পেটে ও দুই পায়ের হাঁটুর উপর উপর্যুপুরি ছুরিকাঘাত করে। তাকে বাঁচাতে সাথে থাকা দুই বন্ধু এগিয়ে আসলে তাদেরকেও মারধর করে আসামিরা এবং প্রাণনাশের হুমকি দেয়। বাদীর ছেলের সাথে থাকা মোবাইল ফোন, ঘড়ি এবং নগদ ১০ হাজার টাকাও জোরপূর্বক ছিনিয়ে নেয় তারা। এরপর তাদের ডাক-চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে পালিয়ে যায় আসামিরা।

মামলার বিষয়টি সিভয়েস২৪’কে নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালী থানার পরিদর্শক (অপারেশন) সাজেদ কামাল। তিনি জানান, গত ২৬ আগস্ট সাকিবুল নামে এক কিশোরকে মারধর এবং প্রাণনাশের অভিযোগ এনে তার মা ৩৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ২০ থেকে ৩০ জনকে আসামি করে একটি এজাহার দিয়েছেন। এজাহারটি রেকর্ড করা হয়েছে। তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *