আন্তর্জাতিক

হামাসের সাথে যুদ্ধ শেষ পর্যায়ে, নেতানিয়াহুর চোখ এবার লেবাননের দিকে

হামাসের সাথে যুদ্ধের তীব্র পর্যায় শেষ হতে চলেছে, যার ফলে ইসরায়েলের সেনাবাহিনীকে এবার উত্তর সীমান্তে লেবাননের দিকে স্থানান্তরিত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

তবে সশস্ত্র সংগঠন হামাস নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত ইসরায়েল গাজায় অভিযান চালিয়ে যাবে বলেও প্রতিশ্রুতি জানিয়েছেন তিনি।

স্থানীয় সময় রোববার (২৩ জুন) ইসরায়েলের টেলিভিশন চ্যানেল ১৪ কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা জানান নেতানিয়াহু। খবর সিএনএন।

গত বছরের সাত অক্টোবর গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এই প্রথম কোন স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের সাথে কথা বললেন নেতানিয়াহু। তিনি বলেন, এর মানে এই নয় যে যুদ্ধ শেষ হতে চলেছে, তবে বর্তমান পর্যায়ে রাফাহতে অভিযান শেষ হতে চলেছে। এটা সত্য। আমরা পরে অভিযান অব্যাহত রাখব।”

সাক্ষাৎকারে নেতানিয়াহু বলেন, তিনি গাজায় এখনও বন্দী থাকা কিছু জিম্মিকে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য হামাসের সাথে একটি আংশিক চুক্তি” করতে প্রস্তুত। তবে যুদ্ধবিরতির পরেও ইসরায়েলের লক্ষ্য অর্জনের জন্য যুদ্ধ অব্যাহত থাকবে বলে অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি।

তিনি বলেন, হামাসকে যে কোন মূল্যে নির্মূল করতে হবে, আমি এটা ছেড়ে দিতে প্রস্তুত নই।

এদিকে নেতানিয়াহুর মন্তব্যের জবাবে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস বলেছে যে, ‘নেতানিয়াহু যে কথাগুলো বলছেন তার অর্থ দাঁড়ায় যে তিনি কেবল একটি আংশিক চুক্তি খুঁজছেন এবং গাজা যুদ্ধের অবসান তিনি চান না।‘

এক বিবৃতিতে হামাস জানায়, ‘নেতানিয়াহুর অবস্থান হল সাম্প্রতিক জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন-এর প্রস্তাবের একটি স্পষ্ট নিশ্চিতকরণ।

শুরু থেকেই হামাস যেকোন যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতির সুস্পষ্ট স্বীকৃতি এবং গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর সম্পূর্ণ প্রত্যাহার জোরালোভাবে চাচ্ছে।

লক্ষ্য এবার লেবাননের দিকে

সাক্ষাৎকারে নেতানিয়াহু চ্যানেল ১৪কে বলেন যে, শীঘ্রই লেবাননের উত্তর সীমান্তে সেনা মোতায়েন করবে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। সীমান্তে ইরান-সমর্থিত হিজবুল্লাহর সঙ্গে গুলি বিনিময় বৃদ্ধি পাওয়ায় এমন সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছেন তিনি।

যুদ্ধের সময় লেবাননের সীমান্তবর্তী ইসরায়েলি শহরগুলো খালি করা হয়েছিল। ওইসব এলাকায় নিজেদের বাসিন্দাদের ফিরিয়ে আনার কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘সম্পূর্ণ সুরক্ষাসহ আমাদের বাসিন্দাদে বাড়িতে নিয়ে আসব। আমরা উত্তর এবং দক্ষিণের সমস্ত বাসিন্দাকে ঘরে ফিরিয়ে আনব। কূটনৈতিকভাবে না হলে অন্যভাবে আমরা তাদের বাড়িতে ফিরিয়ে আনবো।‘

গাজায় হামলার পরদিন ৮ অক্টোবর থেকে হিজবুল্লাহর সাথে আন্তঃসীমান্ত সংঘর্ষ শুরু হয় ইসরায়েলের। তবে সম্প্রতি দুই দেশের সীমান্তে বেড়েছে হামলার পরিমাণ, বৃদ্ধি পেয়েছে উত্তেজনা। এমনকি লেবাননে যুদ্ধ করতে পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে ইসরায়েল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *