চট্টগ্রাম

হালিশহরে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেপ্তার

চট্টগ্রাম নগরীর হালিশহরে বহুল আলোচিত দিনমজুর মাকসুদুর রহমান হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি মো. হোসেনকে (২৭) গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-৭। গ্রেপ্তার মো. হোসেন সন্দ্বীপ উপজেলার রহমতপুর আদম খান বাড়ির মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে।

সোমবার (৮ এপ্রিল) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় নগরীর পাহাড়তলী থানাধীন কনকা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

র‌্যাব জানায়, ২০১৭ সালের জানুয়ারি মাসে ভিকটিম মাকসুদুর রহমান জীবিকার তাগিদে চট্টগ্রাম শহরে আসেন। নগরীর হালিশহর থানার বি-ব্লক এলাকায় একটি ব্যাচেলর বাসায় বসবাস করে দৈনিক মজুরি ভিত্তিতে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছিলেন সে। একই উপজেলার রহমতপুর ইউনিয়নের রফিকুল ইসলামের ছেলে মো. হোসেন ভিকটিমের সাথে একই বাসায় বসবাস করে আসছিল। ওই বছরের ১২ মার্চ দিবাগত রাতে মো. হোসেন নামে এক ব্যক্তি মাকসুদুর রহমানের মোবাইল ফোন চুরি করে পালানোর চেষ্টা করলে তাদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। একপর্যায়ে হোসেন মাকসুদকে ছুরিকাঘাত করে মোবাইল ফোন নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে মাকসুদকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরদিন ভোরে মৃত্যু হয় তার। এ ঘটনায় নিহতের ভাই বাদী হয়ে হালিশহর থানায় হোসেনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। এরপর ওই বছরের ১৮ এপ্রিল আসামি হোসেনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠায় পুলিশ। হোসেন আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। ৩০ এপ্রিল আদালতে পুলিশ চার্জশিট দাখিল করেন। মামলা চলাকালীন আসামি হোসেন আদালত থেকে জামিন পেয়ে আত্মগোপন করে।

র‌্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নূরুল আবছার বলেন, ২০১৭ সালের ৮ নভেম্বর আসামি হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার প্রক্রিয়া শুরু করেন আদালত। মামলার সাক্ষীদের সাক্ষগ্রহণ, অভিযোগপত্র এবং আসামির স্বীকারোক্তির উপর ভিত্তি করে বিজ্ঞ আদালত ২০২৩ সালের ৯ আগস্ট আসামিকে হোসেনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ৬ মাস কারাদণ্ড প্রদান করে।

তিনি আরও জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় আসামি হোসেনকে পাহাড়তলী থানাধীন কনকা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার আসামিকে সন্দ্বীপ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *