দেশজুড়ে

৫ ঘণ্টা পর সচল উত্তরবঙ্গের সঙ্গে রেল যোগাযোগ

পাবনা (ঈশ্বরদী): পাঁচ ঘণ্টা পর স্বাভাবিক হয়েছে ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের রেল যোগাযোগ। বৃহস্পতিবার (৯ মে) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈশ্বরদী-ঢাকা রেলরুটে রেল যোগাযোগ সচলের পর দুর্ঘটনাকবলিত বুড়িমাড়ী এক্সপ্রেস ঢাকা অভিমুখে যাত্রা করেছে। এছাড়াও বিভিন্ন স্টেশনে আটকে থাকা ট্রেনগুলো যাতায়াত শুরু হয়েছে।

এর আগে পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার মুলাডুলি স্টেশনের অদূরে ঢাকাগামী আন্তঃনগর ৮১০ নম্বর ‘বুড়িমাড়ী এক্সপ্রেস’ ট্রেনের একটি বগির দুটি চাকা লাইনচ্যুত হয়। এ কারণে রাজধানী ঢাকার সঙ্গে উত্তরাঞ্চলের ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ ছিল।

বুধবার (৮মে) দিবাগত রাত ৩টার দিকে ঈশ্বরদী-ঢাকা রেলপথের মুলাডুলি-চাটমোহর রেলস্টেশনের মধ্যে মুলাডুলি স্টেশন অতিক্রম করে আউটার সিগন্যালে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের প্রকৌশলী-২ বীরবল মণ্ডল বাংলানিউজকে বলেন, বৃহস্পতিবার (৯ মে) রাত ৩টার দিকে ঈশ্বরদী-ঢাকা রেলপথের মুলাডুলি আউটার সিগন্যালের কাছে ঢাকাগামী আন্তঃনগর বুড়িমাড়ী এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিন থেকে ৫ নম্বর বগি লাইনচ্যুত হয়েছিল। বুড়িমাড়ী এক্সপ্রেস মিটার গেজের ট্রেন। আর ঢাকাগামী রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনটি ছিল মাঝগ্রাম। এটাও মিটার গেজের ট্রেন। তাই আমরা রংপুর এক্সপ্রেসের ইঞ্জিন দিয়ে প্রথমে বুড়িমাড়ী এক্সপ্রেসের শেষের দিকের ৮টি বগি দুর্ঘটনাকবলিত ঘটনাস্থল থেকে মুলাডুলি স্টেশনে টেনে নিয়ে আসি। এরপর, রিলিফ ট্রেনটি মুলাডুলি পৌঁছে বুড়িমাড়ী এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনা কবলিত ‘ঞ’ নাম্বার বগিটি রেললাইনের পাশে মাটিতে রাখা হয়। পরে রিলিফ ট্রেনের ইঞ্জিন মুলাডুলি ফিরে এসে বুড়িমাড়ী ট্রেনের ইঞ্জিনের সঙ্গে যে ৪টি বগি ছিল, তা মুলাডুলিতে নিয়ে এসে আগের ৮টি বগির সঙ্গে সংযুক্ত করে বুড়িমাড়ী এক্সপ্রেস ঢাকা অভিমুখে যাত্রা করে। পরে বিভিন্ন স্থানে দাঁড়িয়ে থাকা আন্তঃনগর ট্রেনগুলো যাওয়া আসা শুরু হয়েছে।

পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) শাহ সুফী নুর মোহাম্মদ জানান, ঢাকাগামী বুড়িমাড়ী এক্সপ্রেস ট্রেনের একটি বগি লাইনচ্যুত হওয়ার কারণে ঢাকাগামী ও ঢাকা থেকে আসা উত্তরাঞ্চলের কয়েকটি যাত্রীবাহী আন্তঃনগর ট্রেন বিভিন্ন স্টেশনে দীর্ঘ কয়েক ঘণ্টা দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছিল। এতে ভ্রমণপ্রিয় ট্রেন যাত্রীরা বেশ দুর্ভোগে পড়েছিল। অনাকাঙ্ক্ষিত এই দুর্ভোগের জন্য পাকশী রেলওয়ে দফতর দুঃখ প্রকাশ করছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *