৫ দিনেও মেলেনি চুরি যাওয়া নবজাতকের সন্ধান
পাঁচদিন অতিবাহিত হলেও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের লেবার ওয়ার্ডে ভূমিষ্ঠ হওয়া যমজ মেয়ের মধ্যে একটি চুরি হয়ে যাওয়া নবজাতকের সন্ধান মেলেনি। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, চুরি যাওয়া নবজাতকে উদ্ধারের জন্য দিনরাত কাজ করছে র্যাব ও পুলিশ।
শনিবার (৮জুন) নবজাতকের বাবা শরিফুল ইসলাম বলেন, এখনো আবার বাচ্চাকে উদ্ধার করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। আমার বাচ্চাটা কি অবস্থায় আছে সেটাও আমাদের জানা নেই। বাচ্চার মা সুখী বেগম অনবরত কেঁদেই চলেছে। একটি বাচ্চাকে বুকের দুধ পান করাতে গেলে আরেক বাচ্চার চেহারা মুখের সামনে ভেসে উঠছে।
শরিফুল আরও বলেন, আজকেও দুপুরে শাহবাগ থানা পুলিশ হাসপাতালে এসেছিল। আমাকে ও বাচ্চার মাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। এবং সিসি ক্যামেরা চেক করেছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেন, বাচ্চা উদ্ধারের জন্য আমাদের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করা হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের। ঘটনার পর থেকে পুলিশের পাশাপাশি র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) কাজ করছে। বারবার বাচ্চাটির পরিবারের সঙ্গে কথা বলছে। আমরা আশাবাদী বাচ্চাটিকে খুঁজে বের করতে পারবো।
গত সোমবার (৩ জুন) রাতে সুখীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মঙ্গলবার (৪ জুন) অস্ত্রোপচারের (সিজার) মাধ্যমে দুই যমজ মেয়ের জন্ম দেন তিনি। তাদের একটি ছেলে সন্তানও আছে। নতুন জন্ম নেওয়া দুই যমজের মধ্যে এক নবজাতকই সন্দেহভাজন সেই নারী নিয়ে গেছেন বলে অভিযোগ শরিফুল-সুখী দম্পতির।
সিসিটিভির ফুটেজে দেখা যায়, কালো বোরখা ও কমলা রঙের ওড়না পরিহিত এক নারী শিশুটির দাদির সঙ্গে আলাপ করছেন। পরে সদ্যজাত যমজদের মধ্যে একজনকে তিনি কোলের নেন। পরে দায়িত্বরত আনসার সদস্যদের একটি কাগজ দেখিয়ে শিশুটিকে নিয়ে ওই নারী পালিয়ে যান।