জাতীয়

৫ হাজার টাকার বিনিময়ে এমপি আজিমের দেহ ৮০ টুকরো করেন কসাই জিহাদ

কলকাতায় খুন হওয়া ঝিনাইদহ-৪ (কালীগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যাকাণ্ডের হাড়হিম করা নতুন বেশকিছু তথ্য সামনে এসেছে। কলকাতার সঞ্জীবা গার্ডেনের ফ্ল্যাটে এমপি আনারকে হত্যার পর মরদেহের চামড়া ছাড়ানো হয়। এরপর ৮০ টুকরো করা হয় তার দেহ। যাতে করে পরিচয় শনাক্ত না করা যায়।

খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার ‘কসাই’ জিহাদ পুলিশকে জিজ্ঞাসাবাদে এসব তথ্য জানিয়েছে বলে সংবাদ প্রকাশ করেছে ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো।

গ্রেপ্তার জিহাদ আরও জানায়, আনোয়ারুলের দেহ ৮০ টুকরো করে নিউটাউন, ভাঙড় এলাকার নানা জায়গার জলাশয়ে ফেলে দেওয়া হয়েছে। তার বিনিময়ে ৫০০০ টাকা পেয়েছে সে।

খুনের তদন্তকারীরা মনে করছেন, দেহের খণ্ডাংশ জলাশয়ে ফেলে দেওয়ায় তা উদ্ধার করা কঠিন হয়ে গেল। ইতোমধ্যেই টুকরোগুলো পানিতে থাকা কোনও না কোনও প্রাণীর পেটে চলে গিয়ে থাকতে পারে।

শুক্রবার (২৪ মে) ‘কসাই’ জিহাদকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে অভিযুক্ত জানায়, খুনের পর আনোয়ারুলের দেহ ৮০ টুকরো করে মস্তিষ্ক সম্পূর্ণ মিশিয়ে দেওয়া হয়। হাড়, মাংস পৃথক করে হলুদ মাখিয়ে একেকটি টুকরো একেক জায়গার জলাশয়ে ফেলা হয়েছে। যদিও কোথায় কী ফেলা হয়েছে, সে বিষয়ে মুখে কুলূপ এঁটেছে গ্রেপ্তাররা। তবে পুলিশের ধারণা, দেহাংশ খুঁজে পাওয়া কঠিন।

তদন্তে জানা যায়, ব্যবসায়িক লেনদেনের সম্পর্কে কিছু বিষয়ে এমপি আনোয়ারুল আজিম আনারের ওপর ক্ষোভ ছিল তার বন্ধু ও হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী আক্তারুজ্জামান শাহীনের। ২০০ কোটি টাকার ভাগাভাগি নিয়ে আনোয়ারুলকে খুন করা হয়। আগেও একাধিকবার এমপি আনারকে খুনের হুমকি দিয়েছিল শাহিন।

সবশেষ গুলশান এবং কলকাতার নিউমার্কেটে দুদফায় তৈরি করা হয় হত্যার ব্লুপ্রিন্ট। এরপর গত ১২ মে এমপি আনার কলকাতায় চিকিৎসা করাতে গেলে পরিকল্পনা অনুযায়ী গ্যাংয়ের সদস্য শিলাস্তির মাধ্যমে তাকে ‘হানিট্র্যাপে’ ফেলা হয়। এরপর নিউটাউনের ফ্ল্যাটে এনে ১৩ তারিখ রাতে আনারকে হত্যা করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *