চট্টগ্রামসীতাকুন্ড

৭ বছর ধরে অকেজো স্লুইচ গেট

সাত বছর আগে পাহাড়ি ঢলে ধসে নষ্ট হয়ে যায় একটি স্লুইচ গেট। সেই থেকে জোয়ারের সময় কিংবা বর্ষায় প্লাবিত হয়ে যায় পুরো গ্রাম। ফলে মেঘ দেখলেই নির্ঘুম রাত কাটান সীতাকুণ্ডের মুরাদপুর ইউনিয়নের গুলিয়াখালী ও আশপাশের চার হাজারেরও বেশি অধিবাসী। স্থানীয় সাংসদের চেষ্টায় এবার স্লুইচ গেট সংস্কারে বরাদ্দ এসেছে বলে জানা গেলেও এখন পর্যন্ত কাজ শুরু হয়নি। ফলে বর্ষায় দুর্ভোগ আরও ভয়ানক হতে পারে বলে সংশ্লিষ্টদের আশঙ্কা।

স্থানীয়সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের বর্ষায় পাহাড়ি ঢলের তীব্রতায় স্লুইচ গেটটির বিভিন্ন অংশ ভেঙে যায়। সেই থেকে গেটটি খোলা বা বন্ধ করা যাচ্ছে না। ফলে স্থানীয়দের জন্য গলার কাঁটা হয়ে উঠেছে স্লুইচ গেটটি।

গুলিয়াখালীর কৃষক আইয়ুব আলী জানান, স্লুইচ গেটটি এখন গলার কাঁটা হয়ে উঠেছে। প্রতিদিন জোয়ারের পানি সাগর থেকে এই গেট দিয়ে ভেতরে চলে আসলেও গেট বন্ধ করা সম্ভব হচ্ছে না। বর্ষায় পানি আটকে রাখার চেষ্টাও সফল হয় না। একসময় পানি উন্নয়ন বোর্ড গেটটি নির্মাণ করলেও বর্তমানে তারা কোন তদারকি করছে না। ফলে এটির সংস্কার হয় না।

সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, এ উপজেলার মুরাদপুর গুলিয়াখালী, সৈয়দপুর, বাড়বকুণ্ড, বাঁশবাড়িয়া, কুমিরাসহ কয়েকটি ইউনিয়নের স্লুইচ গেট অকেজো। এগুলো সংস্কার করা গেলে পাহাড়ি ঢল কিংবা জোয়ারের পানি কৃষকদের জমিতে তেমন প্রবেশ করতে পারবে না। আমি ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে এ বিষয়ে কথা বলবো।

স্থানীয় সাংসদ এসএম আল মামুন বলেন, স্লুইচ গেটে জলাবদ্ধতার এ সমস্যার কথা আমি জানি। সৈয়দপুরের বদরখালি খালে স্লুইচ গেট সংস্কারের জন্য ৮ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। তবে এখনও টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়নি। টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষে কাজ শুরু হবে। অন্য স্লুইচ গেটগুলো সংস্কারের জন্যও এরপরেই বরাদ্দ দেয়া হবে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *