স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীদের ওপর নৌকার হামলা
চট্টগ্রাম-৩ (সন্দ্বীপ) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী স্বাচিপ নেতা ডা. জামাল উদ্দিন চৌধুরীর কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। এতে ৫ স্বতন্ত্র সমর্থক আহত হয়েছেন।
রবিবার (২৪ ডিসেম্বর) রাত ১০টার দিকে উপজেলার সন্তোষপুর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থীর একটি নির্বাচনী সমাবেশ শেষে এ ঘটনা ঘটে। নৌকার প্রার্থী মাহফুজুর রহমান মিতার অনুসারিরা এ হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ করা হচ্ছে।
হামলায় আহতরা হলেন, সন্তোষপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মাকসুদুর রহমান ফুলমিয়া, তার ছেলে মাহমুদুর রহমান মুন্না, আকবর ও মোহাম্মদ। তাৎক্ষণিকভাবে আহত অন্যদের নাম জানা যায়নি।
জানা গেছে, রাত ৮টা থেকে সন্দ্বীপের সন্তোষপুর ইউনিয়নে ডা. জামাল উদ্দিন চৌধুরীর পূর্বনির্ধারিত নির্বাচনী সমাবেশ ছিল। সেখানে যথাসময়ে সমাবেশ শুরু হলে কিছু কর্মী খেয়াল করেন মিতার অনুসারী চিহ্নিত কিছু নেতাকর্মী নিয়ে ওই সমাবেশ এলাকার আশেপাশে অনস্থান নিয়েছে। সমাবেশ শেষের পর ডা. জামাল উদ্দিন চৌধুরী সন্তোষপুর এলাকা ত্যাগ করলে কর্মীরা বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন। পথিমধ্যে আচমকা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে ১৫-২০ জন ডা. জামাল উদ্দিন চৌধুরীর কর্মীদের ওপর হামলা করে।
হামলার শিকার হওয়া কর্মীদের মধ্যে সন্তোষপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মাকসুদুর রহমান ফুলমিয়াও ছিলেন। এসময় তাকে বাঁচাতে গিয়ে তার ছেলে মাহমুদুর রহমান মুন্না গুরুতর আহত হন। তার মাথায় একাধিক সেলাই পড়েছে, এবং তিনি বর্তমানে চিকিৎসাধীন।
তিনি আরও বলেন, ‘এ সময় প্রশাসনের সামনেই আচমকা আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মাহফুজুর রহমান মিতার অনুসারীরা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আমাদের ওপর হামলা করে। এসময় আমার ছেলের মাথা ফেটে যায়। তার ১২টি সেলাই লেগেছে। এসময় তাকে বাঁচাতে গিয়ে আমিও আহত হই। আরও অনেকেই আহত হয়েছেন। যেখানে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, স্বতন্ত্র প্রার্থীরা তাদের মতো প্রচারণা চালাতে পারবে তাতে বাধা দেওয়া যাবে না। সেখানে এ হামলা নিন্দনীয়। আমরা প্রশাসনকে অনুরোধ জানাই, যারা এই হামলার সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হোক।’
হামলার বিষয়ে জানতে সন্তোষপুর চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন জাফরের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও সংযোগ স্থাপন সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে সন্দ্বীপ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি ‘ঝামেলায় আছেন’ বলে মুঠোফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।