চমেক হাসপাতালের অর্ধশতাধিক যন্ত্রপাতি অচল
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে অচল হয়ে গেলো হৃদরোগ বিভাগের একমাত্র এনজিওগ্রাম মেশিন। এতদিন যান্ত্রিক ত্রুটি নিয়ে কোনোমতে সচল ছিল। গত এক সপ্তাহ ধরে তা-ও বন্ধ। ফলে হার্টের রিং বসানোর কার্যক্রম বন্ধ।
সংশ্লিষ্ট কয়েকজন জানালেন, মেশিনে দুই-তিন মাস ধরে সমস্যা দেখা দিচ্ছিল, ওভারলোড হয়েছে। প্রথমিকভাবে এক্স-রে টিউব রিডিটেড সমস্যা বলে মনে হচ্ছে।
হৃদরোগের চিকিৎসায় চট্টগ্রামের উচ্চবিত্ত, মধ্যবিত্তরা পার্শ্ববর্তী দেশসহ বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিলেও নিন্ম মধ্যবিত্তদের একমাত্র ভরসা সরকারি এই হাসপাতাল। এই সেবা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপাকে রোগীরা।
হাসপাতালে ভর্তি এক হৃদরোগীর স্বজন বলছিলেন, অনেক রোগী এসেছিল, তারা চলে গেছে। আমরাও চলে যাচ্ছি, রোগীর জীবনের ঝুঁকি নিয়ে।
এনজিওগ্রাম মেশিনটির মতো জাপানের শিমার্জু ব্র্যান্ডের আরেকটি মেশিন অকেজো পড়ে আছে আড়াই বছর ধরে। বিকল্প কোনো ব্যবস্থা না থাকায় হাসপাতাল ছাড়ছেন রিং পড়ানোর অপেক্ষায় থাকা রোগীরা।
চমেক হাসপাতালের হৃদরোগ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. আশীষ দে বলেন, রোগীরাই বেশি ভুগতেছে। কবে ঠিক হবে তা বলা যাচ্ছে না। তাই আগে থেকে বলা হচ্ছিল, আমাদের দুইটি মেশিন দরকার। এই মেশিন আগে থেকে ডিস্টার্ব করতো, ইঞ্জিনিয়ার এসে ঠিক করে দিতো।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি অচলাবস্থার কথা মেশিন সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানকে জানানো হয়েছে। চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহসান বলেন, সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান বলেছে টিউব নষ্ট হলে জাপান থেকে এনে ঠিক করতে একমাস সময় লাগবে। আর ছোটখাটো অন্য সমস্যা হলে সপ্তাহখানেক লাগবে।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এমন আরও অর্ধশতাধিক যন্ত্রপাতি অচল পড়ে আছে গত কয়েক বছর ধরে।