সিডিএতে ‘অর্থ আত্মসাৎ’ অনুসন্ধানে দুদক
নকশা অনুমোদনে গ্রাহক আবেদন ফি দিলেও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) কর্মকর্তারা তা ব্যাংকে জমা না করে জালিয়াতির মাধ্যমে আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে; যা নিয়ে অনুসন্ধানে নেমেছে দুদক। বুধবার দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একটি দল এজন্য সিডিএতে যায়।
দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-১ এর দলটি শুরুতে সিডিএ সচিব মো. মিজানুর রহমানের কক্ষে যান। সেখান থেকে তারা যান প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামসের কক্ষে। ঘণ্টাখানেক সেখানে অবস্থান করে ভবনের নকশা অনুমোদনের আবেদন সংক্রান্ত বিভিন্ন নথিপত্র যাচাই করেন। পরে ভবনের নিচতলায় পূবালী ব্যাংকের সিডিএ করপোরেট শাখাতেও যায়।
এ বিষয়ে সিডিএ চেয়ারম্যান এম জহিরুল আলম দোভাষ ডলফিন সাংবাদিকদের বলেন, এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়ে আগেই তারা তদন্ত কমিটি করেছেন। প্রমাণ পেলে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ধরনের অভিযোগে সিডিএর ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে। জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না। দুদক যেসব কাগজপত্র চেয়েছে তাদের দেওয়া হবে।
অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া দুদকের উপ পরিচালক নাজমুচ্ছায়াদাত বলেন, “হটলাইন নম্বর ১০৬ এ অভিযোগ পেয়ে দ্রুত এনফোরসমেন্ট টিম এখানে এসেছে। ফাইল ও ব্যাংকের কাগজপত্র দেখেছি। দুয়েকটা ফাইল দেখলাম আবেদনের নম্বর পড়েনি। টাকাও জমা হয়নি এরকম দেখা যাচ্ছে। এখানে অনেক ফাইল। সব এখনই দেখা সম্ভব না। ব্যাংকের সাথেও কথা বলতে হবে।”
ভবনের নকশা অনুমোদনের জন্য আবেদনের বিষয়টি সিডিএ’র অথরাইজেশন বিভাগের অধীন। গ্রাহক নকশা অনুমোদনের জন্য ২ হাজার টাকা আবেদন ফি ও ২০ টাকা কল্যাণ ফান্ডের জন্য জমা দিয়ে থাকেন। নিয়ম অনুসারে, ব্যাংকে টাকা জমা দেওয়ার পর নির্ধারিত ফরমে আবেদন করতে হয়। তবে আবেদনকারীরা সচরাচর সিডিএ কর্মচারীদের মাধ্যমে আবেদন করে থাকেন।
তবে সিল-সই জাল করে একটি চক্র টাকা জমার নকল স্লিপ তৈরি করে আবেদন ফি’র টাকা আত্মসাৎ করে বলে অভিযোগ। এসব জাল জমা স্লিপে আগে টাকা জমা দেওয়া কোনো গ্রাহকের স্লিপ নম্বর ব্যবহার করা হয় বলেও অভিযোগ আছে। এ অভিযোগের বিষয়ে অগাস্টের শেষে সিডিএ’র প্রধান প্রকৌশলী সিডিএ সচিবকে চিঠি দিয়ে জানান। এরপর একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়।