বনের কাঠ ও অবৈধ বালু তোলা নিয়ে দুই পক্ষের দ্বন্দ্ব, সংঘর্ষে আহত ৬
অবৈধভাবে বালু তোলা ও বনের কাঠ নিয়ে দুই পক্ষের দ্বন্দ্বে সংঘর্ষ ঘটে উভয়পক্ষে। এতে ৬ জন আহত হয়েছে। আহতদেরকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে পেকুয়া ও চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। ২৮ মার্চ (বৃহস্পতিবার) রাতে পেকুয়ার টইটংয়ের সোনাইছড়ি ঢালারমুখ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন টইটং ইউনিয়নের চৌকিদারপাড়ার সাবেক এমইউপি নবীর হোসেনের ৩ ছেলে মোহাম্মদ খোকন (৩৯), মোহাম্মদ সোহেল (৩৫), মো. রুবেল (২৫), কবির আহমদের ছেলে ইসমাইল (২৮), সোনাইছড়ি ঢালারমুখ এলাকার মৃত জাফর আহমদের পুত্র সামাজিক বনায়ন প্রহরী আজিজুর রহমান (৪৫), তার ছেলে আবদু রহিম (২৬)।
স্থানীয় আবদুল জলিল জানান, টইটংয়ের সংগ্রামের জুমে ২০০৬ সালে চট্টগ্রাম দক্ষিণ বনবিভাগের আওতায় বারবাকিয়া রেঞ্জের অধীনে সংরক্ষিত বনাঞ্চলে বাগান করে। সম্প্রতি একটি গাছচোর সিন্ডিকেট পাহাড়ের দুর্গম স্থান থেকে গাছ কেটে পাচার করছিল। সংগ্রামের জুমে সোনাইছড়ি ছড়া থেকে বালু উত্তোলন করে খোকন গং । বাগানের উপকারভোগী ও বনপ্রহরী আজিজুর রহমান ও খোকনের মধ্যে গাছ পাচার নিয়ে ঘটনার দিন সন্ধ্যায় বাকবিতণ্ডা হয়। এর জের ধরে ঢালারমুখ জামে মসজিদের সামনে দু’পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এ সময় উভয়পক্ষের ৬ জন আহত হয়েছে।
খোকনের পিতা সাবেক ইউপি সদস্য নবীর হোসাইন প্রকাশ নবু মেম্বার জানান, ‘তারা পরিকল্পিতভাবে হামলা করেছে আমার ছেলেদের উপর’। অপরদিকে আজিজুর রহমান জানান, ‘গহীন বনে ছড়ার মধ্যে মেশিন বসিয়ে নবু মেম্বারের ছেলেরা অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে। তারা সেখান থেকে গাছও পাচার করে। আমি গাছ পাহারা দিই। গাছ পাচার নিয়ে প্রতিবাদ করায় এ সিন্ডিকেট আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে হামলা করেছে।’
এ বিষয়ে পেকুয়া থানার ওসি মো. ইলিয়াছ জানান, লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।