চট্টগ্রাম

পতেঙ্গা সৈকতের প্রবেশ মুখে অবৈধ স্থাপনা, ঈদের আগেই উচ্ছেদ

ঈদুল আজহার আগে সৈকতের মুখে সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করবে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। এক্ষেত্রে সৈকত ঘিরে অবৈধভাবে অবস্থান করা ব্যবসায়ীদের তালিকা করেছে তারা।

সোমবার (২০ মে) পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে ব্যবসায়ীদের সাথে মতবিনিময় সভায় এসব বিষয় জানান জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রাকিব হাসান বলেন, এটা পুনবার্সন না, স্থানান্তর।

প্রাথমিক পর্যায়ে সৈকতের মুখে যারা ব্যবসা করছে তাদেরকে সরিয়ে দিয়ে রাস্তার অন্যপাশে স্থানন্তর করা হবে। সৈকতের মুখে এমন ব্যবসায়ী আছেন ৩২ জন। তবে পর্যায়ক্রমে সব ব্যবসায়ীকে সৈকতের আশপাশ থেকে তুলে রাস্তার অন্যপাশে স্থানান্তর করা হবে।
জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. আবদুল মালেক বলেন, দেশের বিভিন্নপ্রান্ত থেকে পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকতে পর্যটকরা আসে। কিন্তু অবৈধ দোকানপাটের কারণে সৈকতের সৌন্দর্য দেখা যায় না। তাই বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে সমুদ্র পাড় থেকে দোকানগুলোকে তুলে কান্ট্রি সাইডে স্থানান্তর করতে হবে। প্রতিটি দোকানের জন্য নির্দিষ্ট পরিমাপ ও ডিজাইন দিয়ে দোকান নির্মাণ করা। বীচের সামনে যারা বিভিন্ন দোকান করে ব্যবসা করছে, তাদের তালিকা করছি আমরা। সেই তালিকা অনুযায়ী দোকান বরাদ্দ দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, পর্যটকদের সুবিধা সম্বলিত অবকাঠামো নির্মাণ, সৈকতের দোকানসমূহ সুশৃঙ্খল ও পুনর্বাসন করা, টয়লেট, শৌচাগার, চেন্জিং রুম ও ক্যাফেটেরিয়া নির্মাণের ব্যবস্থা গ্রহণ, ফটোগ্রাফারসহ বিভিন্ন সেবা প্রদানকারীদের সংখ্যা নির্দিষ্টকরণ, সাময়িক পরিচয়পত্র প্রদান, সেবা মূল্য নির্ধারণ, সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য টুরিস্ট পুলিশের অফিস নির্মাণের ব্যবস্থা গ্রহণ ও বিচ সংশ্লিষ্ট এলাকা সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় আনয়ন করা হবে।

সভায় চট্টগ্রাম বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটি সদস্য ট্যুরিস্ট পুলিশ চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. তৌহিদুল আরিফ, সহকারী পুলিশ সুপার (এসএএফ) মনীষ দাশ, সিএমপির সহকারী পুলিশ কমিশনার (কর্ণফুলি) আসিফ মাহমুদ গালিব, হোটেল মোটেল সৈকতের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ সরওয়ার উদ্দিন, বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটি সদস্য চৌধুরী ফরিদ, ৪১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ছালেহ আহম্মদ চৌধুরী প্রমুখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *