মুখোমুখি বিতর্কে অংশ নিলেন বাইডেন-ট্রাম্প
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে প্রথম মুখোমুখি বিতর্কে অংশ নিয়েছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বাংলাদেশ সময় আজ শুক্রবার সকাল ৭টার দিকে সিএনএনের আটলান্টা স্টুডিওতে এই বিতর্ক শুরু হয়। চার বছর পর প্রথমবারের মতো মুখোমুখি এ বিতর্কে অংশ নিলেন বাইডেন ও ট্রাম্প।
বিতর্কের শুরুতে আসে অর্থনীতি ইস্যু। এরপর একে একে গর্ভপাত অধিকার, কর, স্বাস্থ্যসেবা এবং আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার নিয়ে বিতর্কে জড়ান বাইডেন ও ট্রাম্প। প্রসঙ্গক্রমে আসে করোনাভাইরাসের সময় নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপও।
এবার বিতর্কটি অনুষ্ঠিত হয় টেলিভিশন স্টুডিওতে। আগের বিতর্কগুলোতে দর্শকদের উপস্থিতি থাকলেও এবার তেমনটা ছিল না। ফলে দর্শকদের প্রতিক্রিয়া সরাসরি পাওয়া যায়নি। বাইডেনের প্রচার দলের অনুরোধে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
এ ছাড়া এবারের বিতর্কে একজনের বক্তব্য দেওয়ার জন্য বরাদ্দ সময়ে অন্যজনের মাইক্রোফোন বন্ধ ছিল। সম্ভাব্য বিশৃঙ্খলা এড়াতেই এটি করা হয়েছে। ২০২০ সালে বাইডেন ও ট্রাম্পের প্রথম বিতর্কের সময় বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছিল।
এদিকে বিতর্ক মঞ্চে উঠলেও প্রথা অনুসারে করমর্দন করেননি বাইডেন ও ট্রাম্প। ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের বিতর্কেও কোভিড-১৯ বিধিনিষেধের কারণে করমর্দন করেননি দুজন।
এসময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন সতর্ক করে বলেন, তার বিশ্বাস ভ্লাদিমির পুতিন একজন ‘যুদ্ধাপরাধী’। পুতিন পুরোনো ‘সোভিয়েত সাম্রাজ্য’ আবার প্রতিষ্ঠা করতে চান বলেও অভিযোগ তোলেন বাইডেন।
বিতর্কে ইউক্রেনকে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থের চেয়ে বেশি অস্ত্র দেওয়ার কথাও জোরালোভাবে বলেন বাইডেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘এসব কারণেই আমরা শক্তিশালী।’
এদিকে ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধে পুতিনের শর্ত নিয়ে ট্রাম্পকে প্রথমে একবার প্রশ্ন করেন সিএনএনের সঞ্চালক ডানা বাশ। প্রথমবার ট্রাম্প এর উত্তর এড়িয়ে যান। এরপর বাশ দ্বিতীয়বার ট্রাম্পকে প্রশ্ন করেন, ‘পুতিনের শর্তগুলো আপনার কাছে গ্রহণযোগ্য কি না?’ এর উত্তরে ট্রাম্প বলেন, ‘না, এগুলো গ্রহণযোগ্য নয়।’
পুতিন বলেছেন, মস্কোর নিজেদের বলে দাবি করা চারটি অঞ্চল কিয়েভ ফিরিয়ে দিতে রাজি হলে ও ন্যাটোতে যোগ দেওয়া থেকে সরে আসলে ইউক্রেনে রাশিয়া যুদ্ধ থামাবে। এসব শর্ত নিয়েই ট্রাম্পকে প্রশ্ন করেন ডানা।
ট্রাম্প বলেন, তিনি নির্বাচনে জিতলে ইউক্রেনে যুদ্ধ থামাবেন। নির্বাচনী প্রচারেও ট্রাম্প এমনটা বলে থাকেন। তবে তিনি কীভাবে যুদ্ধ থামাবেন তা স্পষ্ট করেননি।