আনোয়ারায় গভীর রাতে দিলোয়ারার স্বপ্ন পুড়ে ছাই
গতকাল দিবাগত রাত (৪ মে) ৩ টার সময় আনোয়ারা উপজেলার ১০নং হাইলধর ইউনিয়নের উত্তর তেকাটা এলাকায় এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। ৩ বছর আগে ব্রেইন টিউমারে আক্রান্ত স্বামীকে হারান দিলোয়ারা বেগন (৫৫)। ৪ মেয়ে ও ১ ছেলে নিয়ে দুঃখে কষ্টে জীবনযাপন করছিলেন তিনি। ২৪ বছর আগে কুমিল্লার শাহজাহানের সাথে বিবাব বন্ধনে আবদ্ধ হন ১০ বছর ধরে ব্রেইন টিউমারে আক্রান্ত হয়ে গত ৩ বছর আগে মারা যান স্বামী।
দীর্ঘদিন ভাঙা কুড়ে ঘরে থাকার পর এলাকাবাসী ও আত্মীয়স্বজনের সহযোগিতা আর ঋণ নিয়ে একটা সেমিপাকা ঘর বানিয়ে উঠেন গত ১৫ দিন আগে। গতকাল রাত ৩ টার সময়ে প্রতিবেশিরা গোয়াল ঘরে আগুন দেখলে সবাই এগিয়ে এসে আগুন নেভায় ততক্ষণে তার পোষা দুটি গরু পুড়ে অঙ্গার হয়ে যায়। এবং ঘরে যা ছিল সব পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
প্রতিবেশি মোহাম্মদ ফরিদ বলেন, দিলোয়ারা সম্পর্কে আমার বোন হয়। তার স্বামী অসুস্থ হওয়ার পর গরু ছাগল পালন করে ছেলে মেয়েদের লেখাপড়া করাচ্ছেন অনেক দুঃখ কষ্টে জীবন যাপন করেন তিনি। গতকাল রাত ৩ টায় তার গোয়াল ঘরে আগুন দেখার পর আমরা এলাকাবাসী আগুন নেভাতে সক্ষম হয় তার গরু দুটি পূড়ে অঙ্গার হয়ে গেছে।
তিনি বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে গরুগুলো কিনে লালন পালন করেছেন এখন তার সব শেষ।
এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, বজ্রপাতের কারনে তার ঘরে আগুন লাগার ঘটনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ফায়ার সার্ভিস আসার আগেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন এলাকাবাসী।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মৃত অঙ্গার হওয়া গরুগুলেকে জড়িয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন দিলোয়ারা বেগম। তিনি বলেন, ঋণের টাকায় কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে গরুগুলো লালন-পালন করে আসতেছি আমি গরু ছাগল পালন করে সংসার চালায়।
পরিবারে আয় করার মত কেউ নেই। ৪ মেয়ে ও ১ ছেলেকে নিয়ে কোনমতে আছি। ছেলেটাকে এতিম খানায় ভর্তি করে দিয়েছি। ঘরে আগুন লেগে সব শেষ আমার।
হাইলধর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কলিম উদ্দিন বলেন, মহিলার দুটি গরু পুড়ে মরে যাওয়ার ঘটনাটি আমি শুনেছি। আমি আমার পরিষদের পক্ষ থেকে ও আমার ব্যাক্তিগত ভাবে তাকে সহযোগিতা করব।