কাপ্তাই জাতীয় উদ্যানে ময়লার ভাগাড়!
কাপ্তাই জাতীয় উদ্যান এলাকার প্রধান সড়কের পাশে ময়লার ভাগাড় জমে আছে। দুর্গন্ধে পরিবেশ দূষিতসহ নানামুখী হুমকির মুখে পড়েছে পরিবেশসহ জীববৈচিত্র।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, পার্বত্য চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের আওতাধীন কাপ্তাই রেঞ্জ ও কর্ণফুলী বন রেঞ্জ এলাকা মিলে কাপ্তাই জাতীয় উদ্যান (কাপ্তাই ন্যাশনাল পার্ক) অবস্থিত। বিশাল এই বনে নানা জাতের গাছের পাশাপাশি বৈচিত্র্যময় বন্যপ্রাণীর বসবাস। প্রতিনিয়ত হাজারও পর্যটক আসছে কাপ্তাইয়ের বৈচিত্র্যময় পাহাড়, বন, লেক, নদী ও বন্যপ্রাণী দেখতে। কিন্তু কাপ্তাই প্রধান সড়ক ও নেভি রোড হয়ে রাঙামাটি যাওয়ার পথে বেশ কয়েকটি স্পটে জাতীয় উদ্যানের ভিতর ময়লা স্তুপাকারে জমে রয়েছে। বিগত কয়েক বছর যাবৎ স্থানীয় একাধিক প্রতিষ্ঠান তাদের যাবতীয় ময়লা আবর্জনা সড়কের পাশে ফেলছে। কোন ধরনের ময়লা আবর্জনা ফেলার অনুমতি না থাকলেও হর-হামেশা ময়লা ফেলার পর সেখানকার ময়লা থেকে দুর্গন্ধে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। এছাড়া সেসব ময়লা-আবর্জনা খেতে বনের হাতিসহ বিভিন্ন জীবজন্তু আসে। এবং ময়লা খেয়ে বনের বিভিন্ন পশু-পাখি অসুস্থসহ মৃত্যবরণ করার অভিযোগও রয়েছে। এছাড়া, সড়কের পাশ দিয়ে চলাচলের সময় বিভিন্ন পর্যটক ও স্থানীয় লোকজনকে মুখে হাত দিয়ে চলাচল করতে দেখা যায়।
কাপ্তাই জাতীয় উদ্যানের সহ-ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি কাজী মাকসুদর রহমান বাবুল (সিএমসি) জানান, এক শ্রেণীর কতিপয় প্রতিষ্ঠান কোন অনুমিত বা আইন না মেনে জাতীয় উদ্যান এলাকায় ময়লা ফেলে পরিবেশ দূষিত করছে। এসব ময়লা-আবর্জনা খেয়ে বনের ভিতরে থাকা হাতি ও বিভিন্ন পশু-পাখি মৃত্যুসহ অসুস্থ পড়ছে। এক কথায় ময়লার ভাগাড়ের কারণে পরিবেশ হুমকির মুখে। আমরা এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট সুপারিশ করব বলে তিনি জানান।
কাপ্তাই রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ আবু সুফিয়ান জানান, জাতীয় উদ্যানে এভাবে ময়লা আবর্জনা ফেলা অন্যায় কাজ। যারা ফেলছে তারা ঠিক করছেনা। এতে করে পরিবেশ দূর্ষিত হচ্ছে।
তিনি জানান, চলতি মাসের ভিতর ময়লার ভাগাড় অপসারণ করা হবে। পুনরায় কেউ এভাবে ময়লা ফেললে তার বিরুদ্ধে বন আইন ও পরিবেশ দূষণের দায়ে মামলা করা হবে।