চট্টগ্রামে পথচারীর মৃত্যু: আওয়ামী লীগের ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা
চট্টগ্রামের সদ্য সাবেক মেয়র এম রেজাউল করিমের বাসভবনে হামলার সময় সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে পথচারী শহীদুল ইসলাম শহীদের মৃত্যুর ঘটনায় ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়া এ মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ৩০/৪০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
সোমবার (১৯ আগস্ট) রাতে নগরীর চান্দগাঁও থানায় নিহতের ভাই শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল কবির।
মামলার আসামি হলেন- মহিউদ্দিন ফরহাদ, জালাল ওরফে ড্রিল জালাল (৪২), ফরিদ (৪২), সরকারি সিটি কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি তাহসিন, এইচ এম মিঠু (৪০), জাফর (৩৮), ফিরোজ (৩৮) ও দেলায়ার (৪০)।
এদের মধ্যে মহিউদ্দিন ফরহাদকে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। অন্য ৭ জনের পরিচয় উল্লেখ করা হয়েছে আওয়ামী লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মী হিসেবে। তবে একজনের পরিচয় উল্লেখ করা হয়নি।
গত ৩ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালীন সময়ে নিউমার্কেট মোড়ে সমাবেশ করে ছাত্র জনতা। সমাবেশ শেষে মিছিল নিয়ে যাবার পথে ষোলশহর মেয়র গলিতে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের বাসভবনে হামলার ঘটনা ঘটে। এরপর বহদ্দারহাট এলাকায় সিটি মেয়র এম রেজাউল করিমের বাসভবনেও হামলার ঘটনা ঘটে। সিটি মেয়রের বাসভবনে হামলার সময় গুলিবিদ্ধ হন পথচারী শহীদুল ইসলাম শহীদ। পরে তাকে বেসরকারি একটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
৩ আগস্ট আওয়ামী লীগ নেতাদের বাসায় হামলার পাল্টায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, নগর বিএনপির সাবেক আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন, বর্তমান আহবায়ক এরশাদ উল্লাহর বাসায় হামলার ঘটনা ঘটে।
মামলার বিবরণ অনুযায়ী, ৩ আগস্ট সন্ধ্যায় আসামিরা বহদ্দারহাট মোড়সহ আশপাশের রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে হাতে লাঠিসোঁটা ও অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। এসময় বহদ্দারহাট কাঁচাবাজার থেকে বাজার করে বাসায় ফেরার পথে বহদ্দার বাড়ি জামে মসজিদের সামনে বিবাদীদের এলোপাথাড়ি গুলিতে আহত হন শহীদ। পরে তার মৃত্যু হয়।