চট্টগ্রাম

কালুরঘাট ফেরিঘাটের সংযোগ সড়ক নির্মাণে দুর্নীতি তদন্তে মাঠে দুদক

কালুরঘাট সেতুর উভয় পাশে ফেরিঘাটের সংযোগ সড়ক নির্মাণে কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে; এই অভিযোগ তদন্ত করতে মাঠে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

আজ সোমবার দুপুরে কালুরঘাট ফেরিঘাটে গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করেন দুদক কর্মকর্তারা।

ঘটনাস্থলে যাওয়া দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-১ এর সহকারী পরিচালক মো. এমরান হোসেন বলেন, ‘ফেরিঘাটের সংযোগ সড়ক নির্মাণে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত করার অংশ হিসেবে আমরা তথ্য সংগ্রহ করছি। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।’

এর আগে গত বছরের ১৯ সেপ্টেম্বর কালুরঘাটে ফেরিঘাট নির্মাণে অনিয়ম ও দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ এনে সড়ক ও জনপথ বিভাগ চট্টগ্রামের নির্বাহী প্রকৌশলী পিন্টু চাকমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবরে এ নোটিশ পাঠান চট্টগ্রাম জজ কোর্টের আইনজীবী সেলিম চৌধুরী।

নোটিশে উল্লেখ করা হয়, ২৮ জানুয়ারি, ২০২৩ তারিখে বিভিন্ন দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন মারফত জানতে পারি- বড় ধরনের সংস্কার কাজের জন্য কালুরঘাট সেতু বন্ধ রেখে পারাপারের বিকল্প হিসেবে নিচ দিয়ে ফেরি সার্ভিস চালু করা হবে। এ লক্ষ্যে ৪ কোটি ৮ লাখ টাকা ব্যয়ে কর্ণফুলীর উভয় পাড়ে এপ্রোচ সড়ক, পল্টুন ও বেইলি ব্রিজ স্থাপন করা হয়। কিন্তু গত ১ আগস্ট ফেরি চালুর প্রথম দিনেই যাতায়াতে ভোগান্তিতে পড়ে দক্ষিণের প্রায় অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ।

‘সংবাদমাধ্যম সহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ জনভোগান্তির চিত্র গুরুত্ব সহকারে প্রকাশিত হলে বিষয়টা নাড়া দেয় অনেককেই। আমরা মনে করি, এ কাজে দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী প্রকৌশলী পিন্টু চাকমা সরকারকে বেকায়দায় ফেলার উদ্দেশ্যে কারো দ্বারা প্ররোচিত হয়ে ইচ্ছেকৃতভাবে এখানে অনিয়ম, দুর্নীতি ও দায়িত্বে অবহেলা করে ভোগান্তি বাড়িয়ে জনগণকে ক্ষেপিয়ে তোলার চেষ্টা করেছেন’।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *