ছোঁয়াচে রোগের উপসর্গ নিয়েই তৈরি করছেন খাদ্যপণ্য
অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে পোড়া তেল ব্যবহার করে তৈরি হচ্ছিল খাদ্যপণ্য। পাশাপাশি কর্মীরা ছোঁয়াচে রোগের উপসর্গ নিয়েই তৈরি করছেন খাদ্যপণ্য, এছাড়াও খাদ্যে মেশানো হচ্ছিল অনুমোদনহীন রাসায়নিক দ্রব্য। উৎপাদিত খাদ্য ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রাখা হয়েছিল মাটিতে।
আজ সকালে চট্টগ্রাম নগরের মধুবন সুইটস ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের কারখানায় অভিযানকালে এই চিত্র দেখতে পান বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবদুস সোবহান ও চট্টগ্রাম জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফারহান ইসলাম।
অভিযানে গিয়ে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তারা সবচেয়ে বেশি আতঙ্কিত হয়েছেন এসব পণ্য তৈরির কারিগরদের হাত দেখে। কর্মকর্তারা জানান, কয়েকজন কর্মীর শরীরে ছোঁয়াচে রোগের উপসর্গ দেখা গেছে। কিন্তু এ অবস্থায় হাতে দস্তানা (গ্লাবস) না পরেই তাঁরা খাদ্যপণ্য তৈরি করছিলেন। এসব কারণে নিরাপদ খাদ্য আইনে কারখানা কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে তিন লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। পাশাপাশি দেওয়া হয় প্রয়োজনীয় নির্দেশনা।
একই অভিযানে হোসেন ফুড অ্যান্ড কোং (ডায়মন্ড সেমাই অ্যান্ড নুডলস) কারখানায় গিয়ে দেখা যায়, আগেই পণ্য উৎপাদন করে পণ্যে ভুয়া উৎপাদন তারিখ বসানো হচ্ছিল। এই কারখানাতেও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ দেখতে পান কর্মকর্তারা। এসব অপরাধে কারখানাটি থেকে দুই লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
চট্টগ্রাম জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফারহান ইসলাম বলেন, মধুবন সুইটসে অভিযানে গিয়ে কর্মীদের হাতের আঙুলে ঘা ও ছোঁয়াচে রোগের চিহ্ন দেখা গেছে। এ ছাড়া অন্য কারখানাটির পরিবেশও অস্বাস্থ্যকর ছিল। অভিযানে দুই প্রতিষ্ঠানকে মোট পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
অভিযানে চট্টগ্রাম জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তা ও র্যাব-৭-এর একটি দল উপস্থিত ছিল।