নিরাপত্তার জন্য নারীদের কারাগারে রাখছে আফগানিস্তান
অর্থনৈতিক সংকটের কারণে তালেবান শাসিত আফগানিস্তানে নারী নির্যাতনের হার বেড়েছে। তবে নারী নিরাপত্তা কেন্দ্র না থাকায় নির্যাতনের পর বেঁচে যাওয়া এসব নারীদের কারাগারে পাঠাচ্ছে দেশটির সরকার।
সম্প্রতি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এমন তথ্যই জানিয়েছে জাতিসংঘ।
জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, এভাবে নির্যাতনের পর বেঁচে যাওয়া এসব নারীদের কারাগারে রাখার কারণে তারা মানসিক ও শারীরিক সমস্যায় পড়ছেন। দেশটিতে রাষ্ট্রীয় কোনো পুনর্বাসন, নিরাপত্তা বা আশ্রয়কেন্দ্র নেই। এমনকি এমন কেন্দ্র বানানোর কোনো প্রয়োজনও দেখছে না তালেবান প্রশাসন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলছে, ক্ষমতায় আসার পর আগের মতো কট্টর হবে না প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তালেবান। তবে সময় যত গড়িয়েছে, একের পর এক কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। বেশির ভাগ সিদ্ধান্তই নেওয়া হয়েছে ‘নারীদের স্বাধীনতার‘ বিরুদ্ধে। এমনকি নারীদের পড়াশুনাও আটকে দেওয়া হয়।
এবার জাতিসংঘের অ্যাসিস্ট্যান্স মিশন ইন আফগানিস্তানসের (ইউএনএএমএ) প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, আফগান নারী ও মেয়েদের ওপর সহিংসতা বেড়েছে। তালেবান ক্ষমতায় আসার পর এই সহিংসতা এখন সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে। দেশটিতে নারী নির্যাতন এখন স্বাভাবিক ঘটনা।
২০২১ সালের আগস্টে তালেবান ক্ষমতায় আসার আগে আফগানিস্তানে সরকারি ২৩টি নারী নিরাপত্তা কেন্দ্র ছিল। এই আড়াই বছরে সব বন্ধ হয়ে গেছে। এর কারণ হিসেবে তালেবান প্রশাসন বলছে, নারীদের আর নিরাপত্তা কেন্দ্রের দরকার নেই। পুরুষই নারীদের নিরাপত্তা দেবে। বাইরে বের হলে পুরুষ বা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে তাদের থাকতে হবে। এভাবে নিরাপত্তাকেন্দ্র বানানো পশ্চিমা রীতি।