বৌদ্ধ বিহারে অপ্রীতিকর ঘটনা, জড়িতদের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ
একুশে পদকপ্রাপ্ত বৌদ্ধ ধর্মীয় গুরু ড. জিনবোধি ভিক্ষুর ওপর ‘হামলা’ চট্টগ্রাম বৌদ্ধ বিহারের জন্য কলঙ্কিত অধ্যায় বলে মনে করছে বৌদ্ধ সমাজ। তাঁরা বলছেন, একজন প্রাজ্ঞ মানুষের ওপর হামলা ভিক্ষু সমাজের জন্য লজ্জা ও অপমানজনক। জিনবোধি বৌদ্ধ সমাজের প্রতিনিধিত্ব করেন, তাঁর ওপর হামলা আর বৌদ্ধ সমাজের ওপর হামলা একই কথা। অবিলম্বে এ হামলার দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।
শুক্রবারের ওই ‘হামলার’ ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির দাবিতে শনিবার (৯ মার্চ) নগরে বিভিন্ন কর্মসূচিতে বক্তারা এসব কথা বলেন। চট্টগ্রাম নগরের নন্দনকানন বৌদ্ধ বিহারের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করে বাংলাদেশ সংঘরাজ ভিক্ষু মহাসভা। এছাড়া চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব চত্বরে বিভিন্ন সংগঠনের ব্যানারে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ সংঘরাজ ভিক্ষু মহাসভার সভাপতি অজিতানন্দ মহাথের বলেন, ‘গতকালকের (শুক্রবার) ঘটনা চট্টগ্রাম বৌদ্ধ বিহারের জন্য একটি কলঙ্কিত অধ্যায়। যেখানে একজন প্রাজ্ঞ মানুষের ওপর হামলা চালানো হয়। যা ভিক্ষু সামাজের জন্য লজ্জা ও অপমানজনক।’
চট্টগ্রাম সরকারি মডেল কলেজের অধ্যক্ষ অর্থদশী বড়ুয়া বলেন, ‘একুশে পদকপ্রাপ্ত ড. জিনবোধির ওপর হামলা মানে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী সাধারণ মানুষের ওপর হামলা। তিনি বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের প্রতিনিধিত্ব করেন। এই হামলার দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।’
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার সকালে নগরের নন্দনকানন বৌদ্ধ বিহারে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের দুপক্ষের মধ্যে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় দুপক্ষ একে অপরের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি অভিযোগও করেন কোতোয়ালী থানায়।
এর মধ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পালি বিভাগের সাবেক শিক্ষক ড. জিনবোধির বিরুদ্ধে ‘যৌন হয়রানির’ অভিযোগ তুলেন বৌদ্ধ মহিলা সমিতির নেত্রী রেখা রাণী বড়ুয়া। অন্যদিকে রেখা রাণী বড়ুয়ার বিরুদ্ধে অতর্কিত হামলা ও মোবাইল কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন ড. জিনবোধি ভিক্ষু।