চট্টগ্রামপটিয়া

শামসু-মোতাহের মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ : এয়াকুব

নোঙ্গর প্রতীকের প্রার্থী এম এয়াকুব আলী বলেছেন, গত ১৮ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া নির্বাচনী প্রচারে নৌকা আর ঈগল প্রতীকের প্রার্থীদের কর্মী সমর্থকদের একের পর এক হামলা মামলার ঘটনায় পটিয়ার সাধারণ ভোটারেরা আতংকিত। এ পরিস্থিতি চলতে থাকলে নির্বাচন কমিশনের সুষ্ঠু ভোটের আশ্বাস কতটা বাস্তবায়ন হবে সেটা নিয়ে আমি শঙ্কিত। স্বতন্ত্র প্রার্থী সামশুল হক চৌধুরী লুটেপুটে খেয়েছে গত ১৫ বছর। আর নৌকা প্রার্থী মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে প্রায় ৫ বছর পটিয়াকে শাসন আর শোষণ করেছে। বর্তমানে তারা পটিয়ার নির্বাচনী মাঠে তাদের ভাগবাটোয়ারা নিয়ে একে অপরের প্রতি নানা বিষেদাগার করছেন। তারা মুদ্রার এপিট আর ওপিঠ। এটা পটিয়ার মানুষ বুঝে গেছে। তাদের হাত থেকে পটিয়ার মানুষ পরিত্রাণ চায়।

পটিয়া উপজেলার হাবিলাসদ্বীপ, কুসুমপুরা, জঙ্গল খাইন ইউনিয়নের নির্বাচনী কার্যালয় উদ্ধোধন পরবর্তী এক সভায় এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি পাচুরিয়া, গৈড়লা টেক, এবাদত খানা, দক্ষিণ হরিন খাইন, গোরন খাইন, রতনপুর, কমল মুন্সির হাট, ধলঘাট, ব্রাক্ষন হাট, দারোগা হাট এলাকায় বিভিন্ন জনগুরুত্বপূর্ণ মোড়ে জনসংযোগ করেন।

তিনি আরো বলেন, পটিয়ায় সাড়ে ছয় হাজার কোটি টাকার যে উন্নয়ন করা হয়েছে বলে নির্বাচনের মাঠে সাধারণ ভোটারদের সাথে মিথ্যাচার করছেন তার জবাব দিতে আগামী ৭ জানুয়ারির দ্বাদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচনে নোঙ্গর প্রতীকে ভোট দিন।

তিনি বলেন, উন্নয়নের নামে পটিয়া লুটপাট করা হয়েছে। বর্তমান সংসদ সদস্য তিনি তাঁর ভাই, বোন, ভাগিনা, আত্নীয় স্বজনেরকে দিয়ে হালুয়া রুটির ভাগাভাগি করেছে। ইতোমধ্যে সেই প্রভাব পটিয়ার নির্বাচনী মাঠে পড়তে শুরু করেছে। তিনি যেখানেই যাচ্ছেন সেখানেই সাধারণ মানুষ শোষণ, শাসন আর লুটপাটের হিসেব চেয়ে তাকে প্রতিহত করছেন। ঝাড়ু মিছিল, জুতা নিক্ষেপ, কান ধরে উঠবস সহ নানা ঘটনা ঘটিয়ে তাকে প্রত্যাখ্যান করছে পটিয়ার মানুষ।

নোঙ্গর প্রতীকের প্রার্থী এম এয়াকুব আলী আরো বলেন, গত ১৫ বছরে মানুষ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। প্রধানমন্ত্রী, নির্বাচন কমিশনের সুষ্ঠু ভোটের আশ্বাসে আমি এবারের নির্বাচনে অংশ নিয়েছি। যারা গত ১৫ বছরে কেন্দ্র গিয়ে ভোট দিতে পারেনি তারা এবার ভোট দিতে পারবে। আর ভোটাররা কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারলেই নোঙ্গর প্রতীকে ভোট দিয়ে দীর্ঘদিনের বঞ্চিত শোষিত নিপীড়িত মানুষ পরিবারতন্ত্রের মাধ্যমে হালুয়া রুটির ভাগাভাগি থেকে রক্ষা পেতে আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, মনসুর আলম, আবদুল কুদ্দুস চৌধুরী, মোহাম্মদ আলী মেম্বার, জেবল হোসেন মেম্বার, আলহাজ্ব মোহাম্মদ ছৈয়দ, আবদুর রশিদ, মোহাম্মদ আলী, ডা. জাহাঙ্গীর, বেলাল উদ্দিন, খোরশেদ আলম, সৌরব, দেলোয়ার হোসেন, নুর ইসলাম, জাহেদুল হক, কালাম ভান্ডারী,কবির, নুরুল আলম, ওসমান, লিটন প্রমুখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *