সেই এডিসির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ সিএমপির
স্ত্রীকে ৫ জাহাজ কিনে দেয়া অতিরিক্ত উপ কমিশনার (এডিসি) কামরুল হাসানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করেছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ-সিএমপি।
হাজতখানার আসামিদের মধ্যাহ্ন ভোজের টাকা মেরে দেয়ার ঘটনায় সিএমপির পক্ষ থেকে এই সুপারিশ করা হয়েছে।
১৪ জুলাই সময় সংবাদকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার আবদুল মান্নান মিয়া এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, চট্টগ্রাম মেট্রো কোর্টের হাজতখানায় কর্মরত থাকার সময়ে আসামিদের মধ্যাহ্নভোজের বিল হিসেবে ১৩ লাখ ৩১ হাজার টাকা মেরে দিয়েছেন কামরুল হাসান।
আবদুল মান্নান মিয়া বলেন, সিএমপির অভ্যন্তরীণ তদন্তে দোষী প্রমাণিত হওয়ার পরে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য পুলিশ সদর দফতরে সুপারিশ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে কোন ব্যক্তির দুর্নীতির দায় সিএমপি কিংবা পুলিশ নেবে না বলেও সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।
একের পর এক বের হয়ে আসছে এডিসি কামরুল হাসানের অবৈধ সম্পদ অর্জনের তথ্য। বিলাস বহুল বাড়ি, গাড়িসহ তার ভাণ্ডারে সবই আছে। স্ত্রীকে কিনে দিয়েছেন পাঁচটি জাহাজ। গড়ে তুলেছেন জাহাজ ব্যবসার কোম্পানি। সেই সঙ্গে চট্টগ্রাম ও ঢাকায় সম্পদের পাহাড় গড়ে তোলারও প্রমাণ পাওয়া গেছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুসন্ধানে।
পাহাড়তলী এলাকায় এডিসি কামরুল হাসানের বাসায় গিয়ে দেখা যায়, বাসার প্রধান ফটক বন্ধ। ভেতরে মানুষের কথা বলার শব্দ শোনা যাচ্ছিল। বারবার ডাকার পরও সাড়া দেয়নি কেউ। ভাল পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে এলাকায় তার সুনাম আছে। সামাজিক অনুষ্ঠানে করতেন দান। তবে দুর্নীতি ও অবৈধ ভাবে একের পর এক সম্পদ অর্জনের খবর শোনার পর অবাক এলাকার সাধারণ মানুষজন।