৬ ঘণ্টার মধ্যে অপহৃত উদ্ধার, অপহরণকারী আটক
বান্দরবানের লামায় ৩য় শ্রেণির এক ছাত্রকে অপহরণ করে ১ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারী । ওই শিশুর বাবা-মা অপহরণের বিষয়টি বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় লামা থানায় অবহিত করেন। এর ৬ ঘণ্টার মধ্যে কক্সবাজারের মহেশখালী থেকে শিশুটি উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় অপহরণকারী সামশুল আলমকে (৪০) আটক করা হয়।
শিশু তানজিমুল হক ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের বনপুর বাজার এলাকার এহসানুল হকের ছেলে। অপহরণকারী সামশুল আলম কক্সবাজার জেলার মহেশখালী উপজেলার সদর ইউনিয়নের মাঝেরডেইল বইল্লা পাড়ার নুর আহমদের ছেলে। অপহরণকারী সামশুল আলম লামার বনপুর এলাকায় সবজি ও ছনের ব্যবসা করত এবং এখানে সে নিজেকে আবচার নামে পরিচয় দেয়।
পুলিশ জানায়, লামার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড বনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩য় শ্রেণির ছাত্র তানজিমুল হককে (১০) বৃহস্পতিবার দুপুর ২টায় নিজ বাড়ি হতে তাদের বাড়িতে আশ্রিত সামশুল আলম অপহরণ করে নিয়ে যায় এবং সন্ধ্যায় এক লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। না হয় ছেলের মাথা কেটে উপহার পাঠাবে বলে হুমকি দেয়।
লামা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামীম শেখ বলেন, রাতে শিশুটির বাবা-মা থানায় আসার সাথে সাথে আমরা বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে অভিযানে নেমে পড়ি। বান্দরবান পুলিশ সুপারের নির্দেশে লামা থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক জুনাইদ হাসানের নেতৃত্বে সাঁড়াশি অভিযান চালানো হয়। তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার ও বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে অভিযোগ পাওয়ার মাত্র ৬ ঘণ্টার মধ্যে মহেশখালী থেকে শিশুটি উদ্ধার ও অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করি।
তানজিমুল হকের মা শাকেরা বেগম বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে আমার ছেলে-মেয়েদের ঘরে রেখে আমরা স্বামী-স্ত্রী পারিবারিক কাজে বান্দরবানে যাই। বিকেল ৫টায় বাড়িতে ফিরে আসি। এসে দেখি ঘরে আমার ছেলে তানজিমুল হক নেই। সন্ধ্যা ৬টায় আমার নাম্বারে সামশুল আলম প্রকাশ আবচার ০১৮৮৪১৫২০০৩ এই নাম্বার থেকে ফোন করে বলে সে আমার ছেলেকে নিয়ে গেছে। এই নাম্বারে বিকাশ ও নগদ আছে। বিকাশে ১ লাখ টাকা মুক্তিপণ না দিলে আমার বাচ্চা দিবে না। জবাই করে মেরে ফেলবে। কোন উপায় না দেখে আমরা রাত ১০টায় লামা থানায় আসি। বিষয়টি ওসিকে জানালে তিনি দ্রুত পদক্ষেপ নেন এবং সকাল না হতেই আমার বাচ্চা উদ্ধার করেন।