থমথমে বান্দরবানের রুমা ও থানচি, পাহাড়ে যৌথবাহিনীর অভিযান
নিরাপত্তার কারণে বান্দরবানের তিন উপজেলা রুমা, থানচি ও রোয়াংছড়িতে সোনালী ব্যাংকের কার্যক্রম সাময়িক বন্ধ করা হয়েছে। এসব শাখার গ্রাহকরা অন্য শাখা থেকে লেনদেন করতে পারবেন। পরপর দু’দিন অস্ত্রধারীদের হামলার পর বুধবার (৩ এপ্রিল) সোনালী ব্যাংকের বান্দরবান সদর শাখা ছাড়া অন্যগুলো বন্ধ ছিল।
গত ২ এপ্রিল রাতে বান্দরবানের রুমা উপজেলায় সোনালী ব্যাংকের শাখা ঘেরাও করে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা আনসার ও পুলিশের অস্ত্র-গুলি লুট করে। তাদের মারধর করে সোনালী ব্যাংকের ভল্ট ভেঙে টাকা লুট করে। এরপর ব্যাংকের ম্যানেজারকে অপহরণ করে হেঁটে হেঁটে দুর্গম পাহাড়ের ভেতরে নিয়ে চলে যায়।
এদিকে ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ৩ এপ্রিল দুপুরে আবারো অস্ত্রধারী কয়েকজন সন্ত্রাসী থানচি উপজেলার সোনালী ব্যাংক ও কৃষি ব্যাংকে হামলা করে ১৭ লাখ ৪৫ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়। এ সময় সন্ত্রাসীরা কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে ব্যাংকের বিভিন্ন ব্যক্তির মোবাইল ফোন নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়।
ঘটনার পর রুমা ও থানচি উপজেলায় এখন থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ, র্যাব, এপিবিএনের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর সদস্যরা টহল কার্যক্রম জোরদার করেছে।
প্রকাশ্য দিবালোকে ব্যাংকে হামলার এমন ঘটনায় হতবিম্ব সাধারণ জনগণ, আর এমন পরিস্থিতিতে সকাল থেকেই নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে বান্দরবানের ৭ উপজেলার মধ্যে রুমা, রোয়াংছড়ি ও থানচি সোনালী ব্যাংকের ৩ শাখার কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।
ওই ঘটনার পর পুরো বান্দরবান জুড়ে আতংক বিরাজ করছে। ঘটনার জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে পার্বত্য এলাকার আঞ্চলিক সশস্ত্র সংগঠন কুকি চিন ন্যাশনাল ফন্ট (কেএনএফ) এর বিরুদ্ধে। অন্যদিকে অপহৃত ব্যাংক ম্যানেজারকে উদ্ধারে পাহাড়ে অভিযান চালাচ্ছে যৌথবাহিনীর সদস্যরা।