কক্সবাজারচট্টগ্রাম

অনুপ্রবেশকালে মিয়ানমারের সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর ২৩ সদস্য অস্ত্রসহ আটক

কক্সবাজারের উখিয়ার সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশকালে মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর ২৩ সদস্যকে অস্ত্রসহ আটক করেছেন স্থানীয়রা। এ সময় তাদের বাধা দিতে গিয়ে বোমা হামলায় আহত হয়েছেন স্থানীয় কয়েকজন।

মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে উখিয়ার থাইংখালী পুটিবনিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেন স্থানীয়রা। পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম গফুর চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের সরকারি বাহিনী ও বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির (এএ) মধ্যে চলমান সংঘর্ষের কারণে তারা বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ক্যাম্পে আশ্রয় নিতে আসছিল। এ সময় তাদের দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা জিজ্ঞাসাবাদ করলে তাদের লক্ষ্য করে বোমা হামলা করে। এতে কয়েকজন স্থানীয় আহত হয়েছেন। পরে স্থানীয়রা ধাওয়া করে তাদের আটক করেন। তাদের পুলিশের হেফাজতে দেওয়া হয়েছে।

থাইংখালী পুটিবনিয়া এলাকার বাসিন্দা আতিকুল কবি বলেন, মিয়ানমারের সীমান্তঘেঁষে আমাদের চিংড়ি মাছের ঘের রয়েছে। ২৩ জন যুবক একটি ডিঙি নৌকা করে বাংলাদেশের দিকে আসছিল। প্রথমে তাদের মিয়ানমারের পুলিশ মনে করেছি। কিন্তু কাছে এলে দেখা যায় তারা মিয়ানমারের রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সদস্য। তাদের ভেতরে প্রবেশে বাধা দিলে তারা গ্রেনেড বোমা হামলা করে। এ সময় কয়েকজন স্থানীয় আহত হন।

এদিকে মঙ্গলবার ১০টার পর থেকে মিয়ানমারের বাহিনী আরাকান আর্মির অবস্থান লক্ষ্য করে বোমা হামলা করা হয়েছে। অন্যদিকে আরাকান আর্মির আক্রমণের মুখে এ পর্যন্ত ২২৯ জন মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী পুলিশ (বিজিপি) সদস্য বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। তারা বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) হেফাজতে রয়েছেন।

এছাড়া বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের জলপাইতলী গ্রামের একটি রান্নাঘরে মিয়ানমার থেকে ছোড়া মর্টারশেলের আঘাতে দুইজন নিহত হয়েছেন। নিহত দুজনের মধ্যে একজন বাংলাদেশি নারী, অন্যজন রোহিঙ্গা পুরুষ বলে জানা গেছে।

বর্তমানে উখিয়া ও টেকনাফের ৩৩টি আশ্রয় শিবিরে নিবন্ধিত রোহিঙ্গার সংখ্যা সাড়ে ১২ লাখ। এর মধ্যে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পর কয়েক মাসে রাখাইন রাজ্য থেকে ৮ লাখ রোহিঙ্গা এসেছে ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *