চট্টগ্রাম

‘হিট স্ট্রোক’ করছে মুরগি, কমছে দাম

চট্টগ্রামসহ সারা দেশে চলমান প্রচণ্ড তাপপ্রবাহে বিপর্যস্ত জনজীবন। টানা ২৭ দিন দেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে এই তীব্র তাপপ্রবাহ। ফলে জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে গরমে মরে যাওয়ার শঙ্কায় আগের চেয়ে কম দামে বিক্রি হচ্ছে মুরগি। যা বাজারে স্বস্তি না নামালেও এক সপ্তাহ ব্যবধানে স্থানভেদে কেজিপ্রতি ২০-৩০ টাকা কমেছে ব্রয়লার মুরগির দাম। তবে বাড়তি আছে মাছ-সবজি বাজার।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) নগরের বিভিন্ন বাজারে গিয়ে দেখা যায়, ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২১০ টাকায়। যেখানে গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছিল ২৩০ টাকা কেজি দরে। এছাড়া সোনালি ৩৬০ থেকে ৩৭০ এবং দেশি মুরগি ৬৪০ থেকে ৬৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

রিয়াজউদ্দিন বাজারের মুরগি বিক্রেতা শরিফুল ইসলাম বলেন, তীব্র গরমের কারণে মরে যাওয়ার শঙ্কায় কম দামে বিক্রি করতে হচ্ছে মুরগি। গত এক সপ্তাহ মুরগি বিক্রি হয় ২৪০ থেকে ২৫০ টাকায়। কিন্তু তীব্র গরমের প্রকোপে হিট স্ট্রোক করছে মুরগি। তাই লোকসান এড়াতে কম দামে মুরগি সরবরাহ করছেন খামারিরা।

সীতাকুণ্ড এলাকার লিটন পোল্ট্রি ফার্মের স্বত্বাধিকারী আবু বক্কর সিদ্দিক লিটন বলেন, গরমের তীব্রতার কারণে আমাদের প্রতিদিন মুরগি মারা যাচ্ছে। ফলে খামারে মুরগি রেখে লালন-পালন করা যাচ্ছে না। তাই কম দামে বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, বর্তমানে পাইকারি পর্যায়ে কেজিপ্রতি ব্রয়লার মুরগি ১৭০ থেকে ১৮০ এবং সোনালি ২৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে সবজি গত সপ্তাহ থেকে চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে। কেজিপ্রতি বেগুন ৫০ থেকে ৬০ টাকা, করলা ৮০, পটল ৭০, ঢেঁড়স ৬০, বরবটি ৮০, শসা ৬০, লাউ ৪০ থেকে ৫০, পেঁপে ৫০, মূলা ৫০, ফুলকপি প্রতিটি ৪০ থেকে ৫০, কুমড়ার কেজি ৪০ থেকে ৫০ ও কাঁচা মরিচ স্থানভেদে ৫০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে

অন্যদিকে, হাড়সহ গরুর মাংস কেজিপ্রতি ৭৫০ এবং হাড় ছাড়া ৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খাসির মাংসের কেজি ১ হাজার ৫০ থেকে ১১০০ টাকা। ফার্মের ডিম ডজনপ্রতি ১২০ টাকা, হাঁসের ডিম ১৮০, দেশি মুরগির ডিমের হালি ৮৫ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।

এদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে সরবরাহ কমে যাওয়ায় সব ধরনের মাছ বিক্রি হচ্ছে বাড়তি দামে। কাজীর দেউড়ি বাজারে ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছ কেজিপ্রতি ১ হাজার ২০০ টাকা। ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রামের মাছ দেড় হাজার টাকা। প্রতি কেজি মৃগেল ৩৫০ থেকে ৪৫০, পাঙাশ ২২০ থেকে ২৪০, চিংড়ি ৯০০ থেকে ১ হাজার ৩০০, বোয়াল ৫০০ থেকে ৯০০, কাতল ৪০০ থেকে ৬০০, পোয়া ৪০০ থেকে ৬০০, পাবদা ৪০০ থেকে ৫০০, তেলাপিয়া ২২০-৩০০, কই ২২০ থেকে ২৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *