রাজনীতি

আসন ভাগাভাগি নিয়ে যা বললেন মাইজভান্ডারী

আসন ভাগাভাগি নিয়ে তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী বলেন, আমাদের অনেকগুলো লিস্ট দেওয়া হয়েছে। সেগুলোর সঠিক সমন্বয় এখনও আসেনি। সেই লিস্টগুলো নিয়ে এখন বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। লিস্টটা ছিল লম্বা, সেখান থেকে আজকে আমরা সংক্ষিপ্ত করেছি।

শনিবার (১০ ডিসেম্বর) রাতে ১৪ দলীয় জোটের বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমরা চারজন সংসদে আছি, তারা নৌকা নিয়েই নির্বাচন করবে। একটু সমস্যা হয়েছে, সেটা হচ্ছে মেনন ভাই কোথায় করবে? তবে আমরা কিন্তু সবাই জানি তিনি কোথায় করতে পারেন। এই চারজনের সঙ্গে যারা যুক্ত হবেন সেটা নিয়েই সমস্যা হচ্ছে। যাদের কথা বলা হয়েছে, সেগুলো চূড়ান্ত করতে দুই থেকে তিন দিন সময় নিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, কোথায় কে জিতবে, এটাও দেখার বিষয়। বর্তমান যে জায়গাটা আছে সেটাও দেখতে হবে। আমি মনে করি সুন্দর একটা আলোচনা হয়েছে। একটা জিনিস পরিষ্কার করা হয়েছে, নৌকা নিয়ে নির্বাচন করবে এবং নৌকা উঠে আসবে।

নজিবুল বশর মাইজভান্ডারি বলেন, নির্বাচনের পরে বহির্বিশ্বের যে অবস্থান সেটা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। ১৪ দলীয় জোটের প্রয়োজনীয়তা আছে। এই প্রয়োজনীয়তার কারণেই চৌদ্দ দলীয় জোটকে যতটুকু সম্ভব সমন্বয় করা হবে।
তিনি বলেন, ১৪ দলের জোটেন লিস্ট নিয়েই প্রধানমন্ত্রী চার বার ভোট করেছেন। প্রধানমন্ত্রী খবর নিয়েছেন, কোথা থেকে কে উঠে আসতে পারেন। এগুলো নিয়ে বাকি একটু যাচাই-বাছাই করে আর দুই একদিনের মধ্যে বলে দিবেন।

তিনি আরও বলেন, এটা ভুললে চলবে না, নির্বাচনের পরে একটা কঠিন সময় আসতেছে। সে সময় জোটের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। আমি মনে করি, ১৫ তারিখের মধ্যেই চূড়ান্ত হবে।

১৪ দলীয় জোটের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমুর সভাপতিত্বে বৈঠকে অংশ নেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবীর নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু, সাধারণ সম্পাদক শিরীন আক্তার, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক ড. শাহাদাত হোসেন, জেপির সভাপতি আনোয়ার হোসেন মন্জু, সাধারণ সম্পাদক শেখ শহীদুল ইসলাম, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা ও গণআজাদী লীগের এস কে সিকদার প্রমুখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *