চট্টগ্রাম

কিশোর গ্যাং ‘সুজন গ্রুপ’র প্রধান সুজন গ্রেপ্তার

চট্টগ্রাম নগরীর খুলশীতে হত্যার উদ্দেশ্যে গুরুতর জখম করার মামলার অন্যতম প্রধান আসামি ‘সুজন গ্রুপ’ নামক কিশোর গ্যাংয়ের প্রধান মো. সুজনকে (২৫) গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-৭।

আজ শনিবার (৬ এপ্রিল) সাড়ে ১১টার দিকে খুলশী থানাধীন কালুর মার কলোনি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার সুজন খুলশী থানাধীন লালখান বাজার এলাকার মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে।

র‌্যাব জানায়, ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর চট্টগ্রামের ওয়াসা মোড়ের খাজা পেট্রোল পাম্পের সামনে মো. মহিউদ্দিন বাচ্চু’র নির্বাচনী লিপলেট বিতরণ করাকে কেন্দ্র করে ভিকটিমের ভাগিনার সাথে ‘সুজন গ্রুপ’ নামক কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের কথা কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে ভিকটিমের ভাগিনা ইফতেখার হোসেনকে (১৮) ‘সুজন গ্রুপ’ এর সদস্যরা চড়-থাপ্পড় মারে। এ ঘটনার খবর পেয়ে ভিকটিম মো. আজিজ উদ্দিন চৌধুরী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে বিষয়টি মীমাংসা করে দিয়ে বাসায় চলে যায়। পরবর্তীতে ওই ‍দিন বিকাল ৪টার দিকে ভিকটিম আছরের নামাজ পড়ার উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বাহির হয়ে ওয়াসা মোড়ের অগ্রণী ব্যাংকের সামনে পাকা রাস্তার উপর পৌঁছালে মো. সুজনের নেতৃত্বে ৮-১০ জন কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য ভিকটিমের ভাগিনার ঘটনাকে কেন্দ্র করে পূর্বপরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে ছুরি, লোহার রড ও লাঠিশোটা নিয়ে ভিকটিমের পথরোধ করে। এ সময় মো সুজন হত্যার উদ্দেশ্যে ভিকটিমের বুকের বাম পাশে, পেটে এবং কোমড়ে দাড়ালো ছুড়ি দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত ও গুরুতর জখম করে। ভিকটিমের চিৎকার শুনে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে সন্ত্রাসীরা দ্রুত স্থান ত্যাগ করলে আহত ভিকটিম মো. আজিজ উদ্দিন চৌধুরীকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে প্রেরণ করে।

উক্ত হামলার ঘটনায় ভিকটিম মো. আজিজ উদ্দিন চৌধুরী বাদি হয়ে নগরীর খুলশী থানায় ৮ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করে। মামলা দায়ের হওয়ার পর আসামিরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গ্রেপ্তার এড়াতে এলাকা ছেড়ে আত্মগোপনে চলে যায়।

বর্ণিত মামলার পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে র‌্যাব-৭ চট্টগ্রাম গোয়েন্দা নজরধারী এবং ছায়াতদন্ত অব্যাহত রাখে। নজরধারীর এক পর্যায়ে পলাতক আসামি এবং ‘সুজন গ্রুপ’ নামক কিশোর গ্যাং গ্রুপের প্রধান মো. সুজন চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী থানাধীন কালুর মার কলোনি এলাকায় অবস্থান করছে বলে জানা যায়। এ সংবাদের ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে সে বর্ণিত মামলার পলাতক আসামি বলে স্বীকার করে। তাকে খুলশী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *