চট্টগ্রাম

গাছের জন্য শোকসভা

গাছের নিচে দাঁড়ানো সারিবদ্ধ মানুষ। ব্যানারে লেখা ‘হত্যা করা গাছেদের জন্য শোকসভা’। কাটা গাছের বুকে ‘গাছ কাটার অধিকার দিল কে’ লেখা পোস্টার, হাতে ধরা ‘শ্বাস নিতে পারছে না গাছ, নার্সিং হোম কই? চট্টগ্রাম নগরে গাছ কাটার মহোৎসবের প্রতিবাদ জানাতে পরিবেশবাদীদের উদ্যোগে এই ‘শোকসভা’।

রবিবার (১০ মার্চ) নগরের কাজীর দেউড়িতে উচ্ছেদ করা শিশু পার্কের ভেতরেই এই আয়োজন।

পরিবেশবাদীরা বলছেন, সবুজে ঘেরা চট্টগ্রাম নগরের সবুজ কমতে কমতে ক্রমশ শ্রী হীন ধুসর এক নগরীতে পরিণত হয়েছে। মানুষের অসীম চাহিদার কাছে নিরুপায় প্রাণ-প্রকৃতি। এক চিলতে সবুজও রাখা হবে না কোথাও এমন মরণ পণ করেছে যেনো সব প্রতিষ্ঠান। যেখানেই গাছ সেখানেই উন্নয়ন পরিকল্পনা। সবকিছু যেনো মানুষের করায়ত্ত হওয়া জরুরি।’

‘চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজের সামনের জায়গাটুকু ছিল উন্মুক্ত, জনসাধারণের হাটা, চলা, বিশ্রাম কিংবা অলস সময় কাটানোর সবুজ এক চত্বর, সেটা লিজ দেয়া হয় সিটি করপোরেশনের কাছে। সেখানে হয় শিশুপার্ক। অনিয়ম, বিশৃঙ্খলার জন্য দীর্ঘ পঁচিশ বছর শেষে লিজ বাতিল করা হয়, ভেঙে ফেলা হয় শিশুপার্ক। কথা ছিল জায়গাটা আবার আগের মত উন্মুক্ত থাকবে। কিন্তু সম্প্রতি সেখানকার গাছ গুলো কাটা শুরু হয়। ইতোমধ্যে অনেক গুলো গাছ কাটা পড়েছে এবং বাকি গুলোও কন্ট্রাক্ট দেয়া হয়েছে। এখনও সবমিলিয়ে ১২১ টার মত গাছ আছে ওই এলাকায় ‘

‘এদিকে গরীবুল্লাহ শাহ মাজার কবরস্থানে চলছে গাছ হত্যার মহোৎসব। কিছুদিন আগে বিপ্লব উদ্যানের সব গাছ কেটে সেখানে ইমারত বানানোর কাজ চলছে। এমইএস কলেজের পাশের কবরস্থানের সব গাছ কেটে ধু ধু মরুভূমি বানিয়ে ফেলেছে।’

সভায় উপস্থিত ছিলেন প্রাণী গবেষক শফিক হায়দার, বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. মাহফুজুর রহমান, চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা. কামাল উদ্দীন, চলচিত্র নির্মাতা আসমা বীথি, ন্যাপের সাংগঠনিক সম্পাদক মিতুল দাস, নুরুল হুদা, সিঞ্চন ভৌমিক, বেলা চট্টগ্রামের প্রতিনিধি মনিরা পারভীন রূবা, গণ সংহতির সাধারণ সম্পাদক হাসান মারুফ রুমী, অর্থোপেডিক্স চিকিৎসক মনজুরুল করীম বিপ্লব, গ্রীণ ফিঙ্গারস কো ফাউন্ডার আবু সুফিয়ান, অগ্নিবীণা পাঠাগারের সৌরভ চৌধুরী, হিউমেন ফার্স্ট মুভনেন্টের তরুণ বিশ্বাস, মো রুবেল, সালমা জাহান, শিরিন শাহিন সহ পরিবেশ সচেতন মানুষ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *