কক্সবাজারচট্টগ্রাম

ঘরে ফিরেছে টেকনাফ সীমান্তের মানুষ

বাংলাদেশ মিয়ানমার সীমান্তবর্তী এলাকার মানুষেরা ঘরে ফিরছেন। বিজিবি মহাপরিচালকের কড়া ঘোষণা ও সীমান্তে সতর্ক অবস্থানের পর থেকে নতুন করে ওপারের কোন সীমান্তরক্ষী বাংলাদেশে ঢোকেনি।

ঘুমধুমের স্থানীয়রা বলেছেন, যারা কয়েকদিন আগে ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপদে চলে গিয়েছিল, বিভিন্ন জায়গায় আশ্রয় নিয়েছিল তারা ফিরতে শুরু করেছে। আতংক কিছুটা কমেছে। উত্তর ঘুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া ঘুমধুম-তুমব্রু, জলপাইতলী সীমান্তের ২৪৩ জন সবাই ঘরে ফিরে গেছেন।

নাইক্ষ্যংছড়ি সদরের দোকানদার আবুল কালাম বলেন, বান্দরবানের সীমান্তবর্তী উপজেলা নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু ও ঘুমধুম সীমান্তের পরিস্থিতি এখন কিছুটা শান্ত। মিয়ানমারের অভ্যন্তরে কয়েকদিন ধরে সামরিক বাহিনী ও বিদ্রোহীদের তীব্র লড়াইয়ের কারণে আতঙ্কে আশ্রয় কেন্দ্রে চলে গিয়েছিলেন ওই সীমান্তের বাসিন্দারা। তবে পরিস্থিতি আপাতত ‘অনুকূল’ দেখে আশ্রয় কেন্দ্র থেকে স্থানীয় বাসিন্দারা এখন ঘরে ফিরতে শুরু করেছেন।

নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের তুমব্রু-ঘুমধুমের ওপারের তুমব্রু ও ঢেকিবুনিয়া ক্যাম্প দুইটি মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠীর দখলে চলে যাওয়ায় পরে সেখানে এখন গোলাগুলি অনেকটা বন্ধ হয়েছে।

ঘুমধুম ইউপি চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, ঘুমধুম সীমান্ত এলাকা অনেকটা স্বাভাবিক আছে। গত কয়েকদিন ধরে সীমান্তের ওপারে গোলাগুলির কারণে আতংকে ছিলেন এলাকাবাসী। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকায় আশ্রয়কেন্দ্র ও আত্মীয়দের বাড়িতে চলে যাওয়া বাসিন্দারা আবার এলাকায় ফিরতে শুরু করেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *