জাতীয়

ঘুষ-দুর্নীতি কমাতে কাজ করছে সরকার

গত শুক্রবার (২৯ মার্চ) প্রকাশ হয় যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ‘ফরেন ট্রেড ব্যারিয়ার্স’ এর বার্ষিক প্রতিবেদন। যেখানে বাংলাদেশে বাণিজ্য বিনিয়োগে যেসব বাধা রয়েছে তা তুলে ধরা হয়। বিশেষ করে মেধা-সম্পদ সংরক্ষণ, ডিজিটাল বাণিজ্য, সরকারি কেনাবেচা, বিনিয়োগ, ভর্তুকি ও শ্রম ক্ষেত্রে ঘুষ-দুর্নীতির অভিযোগ তোলা হয়।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বাণিজ্যিক সমঝোতায় ঘুষ ও চাঁদা দেয়ার প্রচুর অভিযোগ আছে। দুর্নীতিবিরোধী আইনের প্রয়োগও যথেষ্ট নয়। লাইসেন্স পেতে ঘুষ দিতে বাধ্য হওয়ার অভিযোগ করেছে মার্কিন প্রতিষ্ঠানগুলোও। তবে পররাষ্ট্র সচিবের মতে, এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। ঘুষ নিয়ে ওঠা অভিযোগের সমাধান নিজেদেরই ঠিক করতে হবে।

মার্কিনিদের প্রতিবেদন নিয়ে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র যে অসংগতির কথা বলেছে, তা কমিয়ে আনতে কাজ করছে সরকার। তিনি জানান, মার্কিন প্রতিবেদনে উঠে আসা অভিযোগ বা অসংগতিগুলো সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও খতিয়ে দেখবে।

অর্থনীতিবিদ ও পলিসি এক্সচেঞ্জ অব বাংলাদেশের (পিইবি) চেয়ারম্যান ড. মাশরুর রিয়াজ বলেন, দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ সুনিশ্চিতে প্রয়োজন সামগ্রিক উন্নয়নের। অন্য দেশ কি বললো না বললো, সেটার জন্য অপেক্ষা না করে আমাদের নিজেদের জন্যই উন্নয়ন প্রয়োজন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *