চট্টগ্রামরাজনীতি

চট্টগ্রাম-১১ নৌকার সঙ্গে নেই বড় তিন নেতা

চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর-পতেঙ্গা-ইপিজেড) আসনে নৌকা প্রতীকে লড়ছেন তিনবারের সংসদ সদস্য এম এ লতিফ। তবে এবার নৌকার সঙ্গে নেই নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনসহ বড় তিন নেতা। তাঁরা দলের স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হককে সমর্থন দিয়েছেন। তিনি ৩৯ নম্বর দক্ষিণ হালিশহর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও একই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। এই দুই প্রার্থীর প্রতিদ্বন্দ্বিতা ঘিরে দুই ধারায় বিভক্ত হয়েছেন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরাও।

চট্টগ্রামের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আসন ধরা হয় বন্দর-পতেঙ্গাকে। কারণ, এখানে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর, বিমানবন্দর, টানেল, জ্বালানি পরিশোধন কারখানাসহ রাষ্ট্রীয় বেশ কটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা (কি-পয়েন্ট ইনস্টলেশন বা কেপিআই) রয়েছে। সারা দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের ৮০ শতাংশ পরিবহন হয় চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে। অর্থাৎ সারা দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য ও জ্বালানির কেন্দ্রবিন্দু এই এলাকা।

নৌকার প্রার্থী তিনবারের সংসদ সদস্য এম এ লতিফ। স্বতন্ত্র হয়েছে আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর জিয়াউল হক। প্রতিদ্বন্দ্বী দুই পক্ষের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নগর ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের সবাইকে পাশে না পেলেও এম এ লতিফের ভরসা পুরোনো ভোটব্যাংক। এক দশকের বেশি সময় ধরে ‘স্বাধীনতা নারী শক্তি’ নামে নারীদের একটি সংগঠন দাঁড় করিয়েছেন। আবার নিম্ন আয়ের মানুষকে কম মূল্যে খাদ্যসহায়তাসহ নানা কর্মসূচি চালু রেখে ‘ভোটব্যাংক’ শক্ত করেছেন বলে মনে করেছেন ভোটাররা। অন্যদিকে জিয়াউল হকের বড় ভরসা শক্ত রাজনৈতিক ভিত্তি। তিন বড় নেতা তাঁকে প্রকাশ্যে সমর্থন দিয়েছেন। তা ছাড়া ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের জনপ্রতিনিধি তিনি, যেখানে সবচেয়ে বেশি ভোটার রয়েছে। তাঁর পক্ষে আছেন বাকি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের বড় অংশও।

তবে ভোটারদের মতে, নির্বাচনের মাঠে নেতা-কর্মীদের সমর্থনের চেয়ে বড় বিষয় নিজেদের সমর্থক ভোটারদের কেন্দ্রে নেওয়া। কারণ হিসেবে তাঁরা বলছেন, ভোটের প্রতি সাধারণ মানুষের উৎসাহ কম। এ জন্য ভোটের দিনে কেন্দ্রে ভোটারদের নেওয়াই হবে দুই পক্ষের আসল পরীক্ষা।

সিটি করপোরেশনের ১০টি ওয়ার্ড নিয়ে বন্দর-পতেঙ্গা-ইপিজেড আসন। এই ১০টি হলো ২৭ থেকে ৩০ ও ৩৬ থেকে ৪১ নম্বর ওয়ার্ড। এই আসনে মোট ভোটার ৫ লাখ ১৬ হাজার ৯৮৩ জন, যা চট্টগ্রামের ১৬ আসনের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এর মধ্যে শ্রমজীবী মানুষের সংখ্যা বেশি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *