চট্টগ্রাম

চান্দগাঁওয়ের শীর্ষ সন্ত্রাসী ‘ধামা জুয়েল’ গ্রেপ্তার

নগরীর চান্দগাঁও এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী মো. জুয়েল। বেশি পরিচিত ধামা জুয়েল নামেই। বাবা ছিল কসাই। তার আরও এক ভাই এলাকায় এলাকায় ঘুরে বিক্রি করতো মাংস। সেই ভাইয়ের নাম বাদশা রাজু। কিন্তু তিনি আবার পরিচিত ‘হামকা রাজু’ নামে। চাপাতি হাতে মাংস বিক্রি ছেড়ে হঠাৎ তারা শুরু করে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ, হাতে তুলে নেয় অস্ত্র। এ পর্যন্ত বিভিন্ন অপরাধে ৮ মামলার আসামি তারা। পুলিশের শীর্ষ সন্ত্রাসীর তালিকায়ও রয়েছে তাদের নাম। গত মঙ্গলবার বাকলিয়া থানার কালামিয়া বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে জুয়েলকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব–৭। সে অস্ত্র মামলায় ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি।

র‌্যাব জানায়, ধামা জুয়েল নগরীর বহদ্দারহাট এলাকায় একটি ছিনতাইতারী চক্রকে নিয়ন্ত্রণ করাসহ চাঁদাবাজি ও মাদক ব্যবসায় সবসময় সক্রিয়। তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে তার বিরুদ্ধে অনেকেই অভিযোগ করেন। এছাড়াও বারইপাড়া এলাকার আনোয়ার নামে এক গার্মেন্টস কর্মকর্তাকে কুপিয়ে হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন করেছিল ধামা জুয়েল ও তার সহযোগীরা। হক মার্কেটের সিকিউরিটি গার্ড আব্দুর সবুর, কিশোর জিয়াদ ও নুরুল আলম হত্যাকাণ্ডেও জড়িত ছিল সে।

চাঁদার জন্য আমজাদ হোসেন নামে এক যুবকের দুই পায়ে ড্রিল মেশিন দিয়ে ছিদ্র করে দিয়েছিল বলে অভিযোগ রয়েছে শীর্ষ সন্ত্রাসী ধামা জুয়েলের বিরুদ্ধে। ভয়ঙ্কর হামকা গ্রুপের অন্যতম ‘হামকা রাজু’র ভাই ধামা জুয়েল ইতোপূর্বে আইনশৃক্সখলা বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিল। সমপ্রতি অস্ত্র মামলায় ১০ বছরের সাজা প্রদান করে বিজ্ঞ আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

র‌্যাব–৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নুরুল আবছার জানান, গ্রেপ্তার আসামি জুয়েলের বিরুদ্ধে নগরীর চান্দগাঁও ও বোয়ালখালী থানায় হত্যাচেষ্টা, অস্ত্র, মাদক ছিনতাই, চাঁদাবাজি, দ্রুত বিচার আইনসহ মোট ৮টি মামলা রয়েছে। তার বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাকে চান্দগাঁও থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *