জাতীয়

জনগণ যতক্ষণ চাইবে ততক্ষণ ক্ষমতায় থাকব

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জনগণ যতক্ষণ চাইবে ততক্ষণ ক্ষমতায় থাকব। কারণ আমরা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে এসেছি। নির্বাচন নিয়ে অনেক কিছু হয়েছে, যাতে নির্বাচনটা না হয়। জনগণের শক্তির ওপর আমি সবসময় বিশ্বাস করেছি।

থাইল্যান্ড সফরের অভিজ্ঞতা জানাতে সংবাদ সম্মেলনে হাজির হয়ে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় গণভবনে এ সংবাদ সম্মেলন শুরু হয়। সরকারের কয়েকজন মন্ত্রী এবং ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতা সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আছেন।

বরাবরের মতই রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর এই সংবাদ সম্মেলন সরাসরি সম্প্রচার করা হচ্ছে।

প্রতিবার বিদেশ সফর থেকে এলে গণমাধ্যমকর্মীদের সামনে আসেন সরকারপ্রধান। এসব সংবাদ সম্মেলনে সফরের বিষয়ে বিবৃতি থাকলেও প্রশ্নোত্তর পর্বে বরাবর গুরুত্ব পায় সাম্প্রতিক রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি।

থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী শ্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে গত ২৪ এপ্রিল বিকেলে ব্যাংককে পৌঁছেন শেখ হাসিনা। ডন মুয়াং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘প্রতিবেশী’ নীতির ওপর বৃহত্তর মনোনিবেশের অংশ হিসেবেই তার এই সফর। আর এ সফর দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নবায়নের চমৎকার সুযোগ করে দিয়েছে।

সফরের দ্বিতীয় দিন ২৫ এপ্রিল জাতিসংঘের এশিয়া প্রশান্ত মহাসগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনইএসসিএপি) ৮০তম অধিবেশনে যোগ দেন বাংলাদেশ সরকারপ্রধান।

ওই অধিবেশনে দেওয়া ভাষণে তিনি বিশ্বনেতাদের উদ্দেশে যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান জানিয়ে বলেন, টেকসই উন্নয়নের পূর্বশর্ত হচ্ছে স্থায়ী শান্তি ও নিরাপত্তা।

জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি এবং অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশন এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলের নির্বাহী সচিব আরমিডা সালসিয়াহ আলিশাবানা সেদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

একই দিন প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডের রাজপ্রাসাদে দেশটির রাজা ভাজিরালংকর্ন এবং রানী সুথিদার সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন।

২৬ এপ্রিল গার্ড অব অনার প্রদানের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আনুষ্ঠানিকভাবে বরণ করে নেন থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী শ্রেথা থাভিসিন।

এরপর থাইল্যান্ডের গভর্নমেন্ট হাউসে দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হয়। তাদের উপস্থিতিতে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারে পাঁচটি নথি সই হয়। এর মধ্যে একটি হল ২০২৪ সালের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির (এফটিএ) আলোচনা শুরুর জন্য ‘লেটার অব ইনটেন্ট’ বা অভিপ্রায় পত্র।

এছাড়া সরকারি পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা অব্যাহতি সংক্রান্ত চুক্তি, জ্বালানি সহযোগিতা, শুল্ক বিষয়ে সহযোগিতা ও পারস্পরিক সহায়তা এবং পর্যটন ক্ষেত্রে সহযোগিতা বিষয়ক সমঝোতা স্মারক রয়েছে এর মধ্যে।

থাইল্যান্ড সফর শেষে সোমবার সকালে ঢাকায় ফেরেন শেখ হাসিনা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *