জন্ম নিবন্ধনে নতুন ভোগান্তি ‘সার্ভার ডাউন’
দেশিয় আইনে জাতি, ধর্ম, বর্ণ, লিঙ্গ, গোষ্ঠী, বয়স নির্বিশেষে সবার জন্ম নিবন্ধন থাকা বাধ্যতামূলক। দেশে জন্ম নেওয়া শিশুর প্রথম স্বীকৃতি এই জন্ম নিবন্ধন। নিবন্ধন প্রক্রিয়া শেষে সরকারের পক্ষ থেকে নাগরিককে দেওয়া হয় সনদ। সেই সনদ পেতে অধিকাংশ নাগরিককে পোহাতে হয় সীমাহীন ভোগান্তি।
জানা গেছে, ২০১০ সালে জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন প্রক্রিয়া অনলাইন করার পর থেকে সেবাপ্রাপ্তি সহজ ও নিরাপদ করতে সেবার উন্নতির নামে প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন এসেছে বেশ কয়েকবার। কার্যত স্মার্ট বাংলাদেশের অংশ হিসেবে পুরো প্রক্রিয়াটি অনলাইন করার পর বেড়েছে ভোগান্তি। ‘অনলাইন’ নাম হলেও নিবন্ধন সম্পন্ন করতে এখনও সরকারি কর্মকর্তাদের টেবিলে টেবিলে ঘুরতে হয় সেবাপ্রার্থীদের।
মূলত নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন প্রক্রিয়াটি তুলনামূলক কঠিন করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ৷ এতে সার্ভার ডাউন, পসিবল ডুপ্লিকেট (সম্ভাব্য দুবার আবেদন), অনলাইন টাকা গ্রহণে ধীরগতি, ওটিপি সমস্যা, আবেদন ফরম প্রিন্টিংয়ের সুযোগ না থাকা, দিনে ত্রিশটির অধিক নিবন্ধন সম্পন্নের সুযোগ না থাকা, নিবন্ধন নম্বরের বিকল্প কী-ওয়ার্ড দিয়ে আবেদন খোঁজার সুযোগ না থাকাসহ বিভিন্ন সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন মাঠ পর্যায়ে সেবাদাতারা।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের পশ্চিম ষোলশহর এলাকার কাউন্সিলর মোবারক আলী বলেন, জন্ম নিবন্ধনের ক্ষেত্রে সার্ভার সংক্রান্ত নানা রকম সমস্যা নিয়ে মানুষ ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। তাতে কোন সন্দেহ নেই। আমরা সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে জন্ম নিবন্ধন রেজিস্টার জেনারেলের দৃষ্টি আকর্ষণ করবো। লিখিতভাবে জানানোর পদক্ষেপ নিয়েছি। আজ চট্টগ্রাম থিয়েটার ইনস্টিটিউটে দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালায় আমরা এ ভোগান্তির কথা তুলে ধরবো।