কক্সবাজারচট্টগ্রাম

টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ রুটে স্পিডবোট বিকল, ১৯ যাত্রী উদ্ধার

কক্সবাজারের টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ রুটে ঢেউয়ের কবলে পড়ে একটি স্পিডবোট ডুবে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

শুক্রবার (৫ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঘটে যাওয়া এই দুর্ঘটনায় তিন শিশুসহ ১৯ যাত্রীকে উদ্ধার করেছেন স্থানীয় জেলেরা। তন্মধ্যে ৭ জন টেকনাফের রাজমিস্ত্রি ও ১২ জন স্থানীয় বাসিন্দা। অপর দুইজন স্পিডবোটের চালক ও সহকারী।

স্থানীয়দের বরাতে জানা যায়, কামাল হোসেনের মালিকানাধীন স্পিডবোটটি দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ৩ শিশুসহ ১৯ জন যাত্রী নিয়ে সেন্টমার্টিন থেকে শাহপরীর দ্বীপের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। এটি নাফ নদের নাইক্ষ্যংদিয়া পয়েন্টে পৌঁছালে বড় ঢেউয়ের আঘাতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। এতে স্পিডবোটে থাকা যাত্রীরা পানিতে ভাসতে থাকে।

সেন্টমার্টিনের স্থানীয় মেম্বার কামাল হোসেন জানান, টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ রুটের নাফ নদের নাইক্ষ্যংদিয়া এলাকায় স্পিডবোটটির ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়।

তিনি বলেন, সাগর শান্ত থাকায় বোট ডুবে যাওয়ার মতো বড় কোন দুর্ঘটনা ঘটেনি। তবে স্পিডবোটটি প্রায় ডুবু ডুবু অবস্থায় ছিল। পরে যাত্রীবাহী আরও একটি স্পিডবোট ও স্থানীয় জেলেরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে সাগরে ভাসতে থাকা যাত্রীদের নিরাপদে উদ্ধার করে।

স্পিডবোটের এক যাত্রী, সেন্টমার্টিন ইউপির ৭ নম্বর ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ নুর হক জানান, অদক্ষ ড্রাইভারের কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। আমিও সাগরে দুটি বাচ্চা নিয়ে এক ঘণ্টা ভেসে ছিলাম। পরে স্থানীয় জেলেরা ও অন্য একটি স্পিডবোট আমাদেরকে উদ্ধার করে।

সেন্টমার্টিন ইউপি চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, দুর্ঘটনায় কবলিত স্পিডবোটটি উপজেলা প্রশাসনের অনুমতিবিহীন এবং অদক্ষ ড্রাইভার দ্বারা চালানো হচ্ছিল। তবে উদ্ধারকৃত যাত্রীদের তাদের নাম-পরিচয় জানাতে পারেননি ইউপি চেয়ারম্যান।

এদিকে, সেন্টমার্টিন স্পিডবোট মালিক সমবায় সমিতির সভাপতি ও ইউপি সদস্য খোরশেদ আলম বলেন, দুর্ঘটনাকবলিত স্পিডবোটটি আমাদের সমিতির নয় ।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, সেন্টমার্টিনের জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে অনুমোদনহীন ও অদক্ষ ড্রাইভার দিয়ে কয়েকটি স্পিডবোট সেন্টমার্টিন থেকে টেকনাফ যাত্রী পরিবহন করে আসছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *