চট্টগ্রামপার্বত্য চট্টগ্রাম

ধর্ষণের মামলা না নিয়ে মীমাংসার চেষ্টা পুলিশের!

রাঙামাটির লংগদু উপজেলায় একটি ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ ‘মীমাংসার চেষ্টা’ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পরে ভুক্তভোগীর চিকিৎসার ছাড়পত্র নিয়ে থানায় মামলা করতে গেলেও থানার ওসি মামলা গ্রহণে ‘অনীহা’ প্রকাশ করে বলেও অভিযোগ করেছেন বাদী। তবে এ ঘটনায় রাঙামাটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলার আবেদনের পর আদালত মামলাটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করে লংগদু থানাকে জিআর মামলা হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বাদীপক্ষের ও জেলা লিগ্যাল এইড অফিসের প্যানেল আইনজীবী অ্যাডভোকেট শফিউল আলম মিঞা বলেন, ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ভিকটিমের বাবা মামলার আবেদন করে। আবেদন শুনানির পর বিজ্ঞ আদালত মামলার আবেদনটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করেছেন এবং থানাকে জিআর মামলা হিসেবে এন্ট্রি করার নির্দেশ দিয়েছেন।’

বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) সকালে রাঙামাটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারিক এ ই এম ইসমাইল হোসেনের আদালতে ১৪ বছরের ওই কিশোরী ভিকটিমের বাবা মামলার আবেদন করেন। মামলার আবেদনে মো. জাহিরুল ইসলাম (২৭) নামের এক যুবক ছাড়াও অজ্ঞাত আরেকজনকে আসামি করা হয়েছে। মো. জহিরুল ইসলাম (২৭) উপজেলার বগাচত্বর ইউনিয়নের রাঙ্গীপাড়ার মো. রাজ্জাক আলীর ছেলে।

মামলার আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ১৩ মার্চ সন্ধ্যার দিকে রাঙামাটির লংগদু উপজেলার কাগইজ্জ্যা ছড়া ঝর্ণার থেকে ভিকটিম খাবার পানি আনার সময় জাহিরুল ইসলাম ভিকটিমের পেছন থেকে এসে ভিকটিমের হাত, মুখ বেধে ঝর্ণার পূর্বে তামাকক্ষেতে নিয়ে ধর্ষণ করে। পরে অজ্ঞাত এক লোক আসামির নাম ধরে ডাক দিলে আসামি ভিকটিমকে রেখে পালিয়ে যায়। ঘটনার পরদিন (১৪ মার্চ) সন্ধ্যায় ভিকটিম তার মাকে বিষয়টি জানালে ভিকটিমের বাবা স্থানীয় মেম্বারকে জানিয়ে লংগদু থানায় মামলা করতে গেলে থানা কর্তৃপক্ষ বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করার চেষ্টা করেন এবং দ্বিতীয় দফায় মামলা গ্রহণে অনীহা প্রকাশ করেন। পরবর্তীতে জেলা লিগ্যাল এইড অফিসে অভিযোগ করলে লিগ্যাল এইড অফিস ঘটনার পর্যালোচনা করে সরকারি খরচে বাদীকে মামলা করার পরামর্শ দেয়।

তবে এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে লংগদু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুনুর রশিদকে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *