চট্টগ্রামবোয়ালখালী

নতুনঘর পেয়ে অমানিশা কাটলো বোয়ালখালীর ৬ পরিবারের

অর্থের অভাবে মেরামত করা যাচ্ছিল না জীর্ণশীর্ণ বসবাসের ঘরটি। কোন রকম পলিথিনে মুড়িয়ে বসবাসের চেষ্টা করলেও তা ছিল যথেষ্ট কষ্টসাধ্য। গ্রীষ্মে কোনভাবে দিনাতিপাত করলেও বর্ষাকাল আসলে শুরু হতো অবর্ণনীয় কষ্ট আর দুর্ভোগ। নির্ঘুম কতো রাত কেটে যেতো তার হিসেব রাখা ছিল দুষ্কর। চক্ষু লজ্জা ফেলে সমাজের বিত্তবান অনেকের দ্বারস্থ হয়েও যখন আশার কোন আলো খুঁজে পাচ্ছিলেন না তখনই ত্রাতা হিসেবে এগিয়ে আসলো বোয়ালখালীর আলহাজ এম.এ হাশেম ফাউন্ডেশন।

ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও পৌরসভার মেয়র জহুরুল ইসলাম জহুর অসহায় পরিবারগুলোর দুর্ভোগের কথা শোনেন। তাদের কষ্ট লাগবে নতুন ঘর করে দেয়ার আশ্বাস দেন। কথা মোতাবেক ঘর নির্মাণের কাজ শুরু করেন তিনি। মাত্র ১ মাসে দ্রুততার সাথে গৃহনির্মাণের কাজ শেষ করেন মেয়র জহুরুল ইসলাম জহুর। অবশেষে বোয়ালখালী উপজেলার ৬ অসহায় পরিবারকে এই নতুন ঘর উপহার দেন তিনি। এদিকে, নতুন ঘর পেয়ে আনন্দে চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত বাঁচা মিয়ার ছেলে আবদুল হাকিম, বহদ্দারপাড়া বাদশা মিয়ার মেয়ে লাকী আকতার, পশ্চিম গোমদণ্ডী এলাকার মৃত সোলতান আহমদের মেয়ে রিফা আকতার, পশ্চিম গোমদণ্ডী এলাকার মৃত আবদুল বারেকের ছেলে খোরশেদ আলম, মৃত শামশুল আলমের স্ত্রী মরিয়ম বেগম, মো. মিজানের স্ত্রী জমিলা খাতুন। তারা প্রত্যেকেই বলেন, পৌর মেয়র জহুরুল ইসলাম তাদের মাথা গোজার ঠাঁই করে দিয়ে সমাজে দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করেছেন। কারণ চক্ষু লজ্জায় কারো কাছে নিজেদের অসহায়ত্বের কথা বলতে যেতাম না। দিন দিন দুর্ভোগের পরিমাণ বাড়তে থাকলে সকল লাজলজ্জা ভুলে কয়েকজনের দ্বারে দ্বারে ঘুরেছি, কিন্তু কোন আশ্বাস না পেয়ে আশা ছেড়েই দিয়েছিলাম। আল্লাহ মনে হয় আমাদের দিকে চোখ তুলে তাকিয়েছিলেন। আমাদের অসহায়ত্বের কথা শুনে মেয়র নিজেই ছুটে আসেন। তিনি একমাসের মধ্যেই আমাদের নতুন ঘর নির্মাণ করে দিয়ে মাথা গোজার ঠাঁই করে দিয়েছেন।

এ ব্যাপারে পৌর মেয়র জহুরুল ইসলাম জহুর বলেন, ৬টি পরিবারের দুর্ভোগের খবর পেয়ে আমি নিজেই ছুটে যাই তাদের বাড়িতে। আশ্বাস দিয়েছিলাম দ্রুত নতুন ঘর নির্মাণ করে দিয়ে দুঃখ লাঘবে সহায়তা করবো। মাত্র ১ মাসে ৬টি নতুন ঘর নির্মাণ করে অসহায় পরিবারগুলোর মাঝে হস্তান্তর করেছি। তিনি আরো জানান, আলহাজ এম এ হাশেম ফাউন্ডেশনের নিজস্ব অর্থায়নে ঘরগুলো নির্মাণ করা হয়েছে। ঘরগুলোর নির্মাণে খরচ হয়েছে প্রায় ১৬ লক্ষ টাকা। এছাড়াও ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে অসহায় মেয়ের বিবাহে আর্থিক অনুদান, পড়ালেখা করতে না পারা শিক্ষার্থীদের শিক্ষাসামগ্রী, বই, নগদ অর্থ প্রদান, যুব সমাজকে মাদক থেকে বাঁচাতে খেলাধুলাসহ বিভিন্ন সামাজিক কর্মকা- করে আসছে আলহাজ এম.এ হাশেম ফাউন্ডেশন। আগামীতেও এই ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে বলে জানান ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও মেয়র জহুরুল ইসলাম জহুর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *