চট্টগ্রাম

বিজিএমইএ নির্বাচনে সম্মিলিত পরিষদের জয়

শনিবার সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত রাজধানীর উত্তরায় বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে ঢাকা অঞ্চলের আর চিটাগাং এর খুলশীর স্থানীয় অফিসে পরিচালনা পর্ষদ নির্বাচনে বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ চলে।

বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকরক সমিতির (বিজিএমইএ) নির্বাচনে পূর্ণ প্যানেলে জয় পেয়েছে সম্মিলিত পরিষদ। দ্বিবার্ষিক এই নির্বাচনে ঢাকা ও চট্টগ্রামের মোট ৩৫টি পরিচালক পদের বিপরীতে প্রার্থী ছিলেন ৭০ জন। তাদের মধ্যে ঢাকা থেকে নির্বাচিত হয়েছেন ২৬ জন এবং চট্টগ্রাম অঞ্চল থেকে নির্বাচিত হয়েছেন নয়জন। ৩৫টি পদের সবকটিতেই জয়ী হয়েছেন সম্মিলিত পরিষদের প্রার্থীরা।

এই প্যানেলের নেতৃত্বে থাকা বিজিএমইএর বর্তমান জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি এবং সেহা ডিজাইন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম মান্নান কচি সর্বোচ্চ ১৫১০ ভোট পেয়ে পরিচালক নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ঢাকা মহানগর (উত্তর) আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

তার ঠিক পরের অবস্থানে আছেন একই প্যানেলের বর্তমান পর্ষদের আরেক জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি শহীদুল্লাহ আজিম। তিনি ১ হাজার ৪৮৬ ভোট পেয়ে পরিচালক হয়েছেন। তিনি ক্লাসিক ফ্যাশন কনসেপ্ট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। আর চট্টগ্রাম অঞ্চলে সর্বোচ্চ ১ হাজার ৪২২ ভোট পেয়ে পরিচালক নির্বাচিত হয়েছেন এইচকেসি অ্যাপারালস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাকিবুল আলম চৌধুরী।

নির্বাচনে ‘সম্মিলিত পরিষদ’ এর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছিল ‘ফোরাম’ প্যানেল। ফোরামের নেতৃত্ব দেন সুরমা গার্মেন্টসের পরিচালক ফয়সাল সামাদ। তিনি বর্তমান কমিটির পরিচালক। একবার সহ-সভাপতির দায়িত্বও পালন করেছেন।শনিবার সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত রাজধানীর উত্তরায় বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে ঢাকা অঞ্চলের আর চিটাগাং এর খুলশীর স্থানীয় অফিসে পরিচালনা পর্ষদ নির্বাচনে বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ চলে। পরে মধ্যরাতে ভোট গণনা শেষে ফল ঘোষণা করেন নির্বাচনী বোর্ডের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলামিন।

তিনি জানান, এ নির্বাচনে মোট ২ হাজার ৪৯৬ জন ভোটারের মধ্যে ভোট দিয়েছেন ২ হাজার ২২৬ জন। ভোটের হার ৮৯ দশমিক ১৮ শতাংশ। ঢাকায় ২ হাজার ৩২ ভোটারের মধ্যে ভোট দিয়েছেন এক হাজার ৮৩৯ জন বা ৯০ দশমিক ৫০ শতাংশ। আর চট্টগ্রামে ৪৬৪ ভোটের মধ্যে ৩৮৭ জন ভোট দিয়েছেন। সেখানে ভোটের হার ৮৩ দশমিক ৪০ শতাংশ।

ঢাকা থেকে নির্বাচিতরা হলেন– শহীদুল্লাহ আজিম, এসএম মান্নান (কচি), আসিফ আশরাফ, আব্দুল্লাহ হিল রাকিব, মো. ইমরানুর রহমান, আরশাদ জামাল (দীপু), মিরান আলি, শোভন ইসলাম, হারুন অর রশিদ, মোহাম্মদ সোহেল সাদাত, মো. আশিকুর রহমান (তুহিন), আনোয়ার হোসাইন (মানিক), শামস মাহমুদ, মেসবাহ উদ্দিন খান, খন্দকার রাফিকুল ইসলাম, মো. নাসির উদ্দিন, রাজিব চৌধুরী, আবরার হোসাইন সায়েম, মো. শাহাদাত হোসেন, মো. জাকির হোসাইন, নুসরাত বারি আশা, মো. মহিউদ্দিন রুবেল, শেহরিন সালাম ওইশি, মো. নুরুল ইসলাম, সাইফুদ্দিন সিদ্দিক সাগর, মো. রাসেল আলম (মিরু)।

চট্টগ্রাম থেকে নির্বাচিতরা হলেন– রাকিবুল আলম চৌধুরী, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, মোহাম্মদ মুসা, আমজাদ হোসাইন চৌধুরী, এম আহসানুল হক, মোস্তাফা সরওয়ার রিয়াদ, মোহাম্মদ রাকিব আল নাসের, গাজি মো. শহিদ উল্লাহ, মো. আবসার হোসাইন। ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত পরিচালকদের মধ্য থেকে সংগঠনের সভাপতি, প্রথম সহ-সভাপতি, সিনিয়র সহ-সভাপতি এবং দুজন সহ-সভাপতির নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা নেওয়া হবে। তাদের মনোনয়ন বাছাই শেষে ১৯ মার্চ চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করবে কমিশন। নেতা নির্বাচন নিয়ে আপত্তি থাকলে আপিলের সুযোগও আছে। সেক্ষেত্রে আপিল নিষ্পত্তির পর ২৮ মার্চ চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করা হবে, যারা ২০২৪-২৬ মেয়াদের জন্য দায়িত্ব নেবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *