বোয়ালখালীতে পুলিশ পরিচয়ে বৌদ্ধ বিহারে ডাকাতি
চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে পুলিশ পরিচয়ে এক বৌদ্ধ বিহারে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে শাকপুরা ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বড়ুয়ার টেক এলাকার প্রজ্ঞাবংশ বিদর্শন ভাবনা কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।
ডাকাতদল বিহারের লোকজনকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নিয়ে গেছে আইপিএস ব্যাটারি, দানবাক্সের টাকা, আলমিরায় রক্ষিত বিহার উন্নয়নের নগদ ৬০ হাজার টাকা, ভান্তের মোবাইল ও দানীয় স্বর্ণালংকার।
বিহারের সেবক দীপক মারমা বলেন, প্রথমে ডাকাতরা বিহারের মূল দরজার দুটি তালা ভেঙে প্রবেশ করে দানবাক্সের তালা ভেঙে টাকা-পয়সা নিয়ে নেয়। এরপর তারা সেবকদের ঘরের দরজা ভেঙে প্রবেশ করে। সেবকদের রুমে আমিসহ ৪ জন এতিম বাচ্চা থাকে। তারা আমাদের বলে যে, তোমরা ঘুমাও আমরা প্রশাসনের লোক। এসময় আমাকে বলে যে ভান্তের ঘর দেখিয়ে দিতে আমি তাদের বিহার অধ্যক্ষ শ্রীলপ্রিয় মহাথের এর কক্ষে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে আলমিরা ও সমস্ত জিনিসপত্র এলোমেলো করে তল্লাশি করে টাকা, মোবাইল নিয়ে নেয়। শ্রীলপ্রিয় মহাথেরকে নিয়ে এরপর উপাধ্যক্ষ আনন্দ ভিক্ষুর বাসভবনে যায় ডাকাত দল। ওই কক্ষ থেকেও টাকা ও দানীয় স্বর্ণালংকার নিয়ে নেয় ডাকতরা। তারা আলমিরায় ইয়াবা রয়েছে জানিয়ে তল্লাশি করেছে। ডাকাতদল যাওয়ার সময় সবাইকে একটি কক্ষকে নিয়ে দরজা আটককে চলে যায়।
ডাকাতদলে চার সদস্য ছিলেন- তাদের দুইজনের হাতে বন্দুক, একজনের হাতে পিস্তল এবং একজনের বড় কাঁচি (তালা কাটার) ছিল বলে জানান দীপক মারমা।
রাত ২টার দিকে ফোন পেয়ে বিহারে ছুটে আসেন অভি বড়ুয়া ও সুজন বড়ুয়া। তারা বলেন, রাত ১২টার দিকে বিহারের পেছনে আমরা বনভোজন খেয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছিলাম। এরপর রাত ২টার সময় ফোন পেয়ে এসে দেখি এই ঘটনা। ডাকাত দল সবমিলিয়ে ২০-৩০ মিনিটের মধ্যে এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য অনুপ দাশ বলেন, এই ধরনের ঘটনা দুঃখজনক। প্রশাসনের লোক পরিচয়ে এ ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে।
বোয়ালখালী থানার উপ-পরিদর্শক মো. মুসা বলেন, খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করতে পুলিশ কাজ শুরু করেছে।