কক্সবাজারচট্টগ্রাম

মিয়ানমারের মংডুতে মুহুর্মুহু বিস্ফোরণ, টেকনাফে আতঙ্ক

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডু টাউনশিপের উত্তরের কয়েকটি গ্রামে গতকাল সোমবার রাত থেকে দফায় দফায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে বাংলাদেশের টেকনাফে সীমান্ত এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। এদিকে মিয়ানমারের নাগরিকদের অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্তে টহল জোরদার করেছে বিজিবি ও কোস্টগার্ড।

টেকনাফের বাসিন্দা জানান, গতকাল রাত নয়টা থেকে মংডু টাউনশিপের ১০ কিলোমিটার উত্তরের কাওয়ারবিল এলাকা থেকে বিস্ফোরণের শব্দ এপারে বাংলাদেশে ভেসে আসছে। আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে তিনটা পর্যন্ত বিস্ফোরণ অব্যাহত ছিল।

টেকনাফের জনপ্রতিনিধি ও সীমান্ত–সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রের দাবি, কাওয়ারবিল এলাকায় মিয়ানমারের সরকারি বাহিনীর সঙ্গে সশস্ত্র দল আরাকান আর্মির সংঘাত চলছে। দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি হামলায় মর্টার শেল ও বোমার বিস্ফোরণ ঘটছে। ওই এলাকায় ধোঁয়ার কুণ্ডলী ভাসতে দেখেছেন টেকনাফের সীমান্তবর্তী বিভিন্ন এলাকার লোকজন।

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সংঘাতের মধ্যেই গত শনি ও রোববার দুই দিনে কয়েক দফায় নাফ নদী অতিক্রম করে টেকনাফে আশ্রয় নেন মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ১২৮ জন সদস্য। তাঁদের বিজিবির হেফাজতে রাখা হয়েছে। আজ বেলা সাড়ে তিনটা পর্যন্ত নতুন করে বিজিপির কোনো সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নেননি।

টেকনাফ পৌরসভার প্যানেল মেয়র মুজিবুর রহমান বলেন, মিয়ানামারে দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি হামলা এবং মুহুর্মুহু মর্টার শেল ও বোমা বিস্ফোরণের প্রভাবে টেকনাফ পৌরসভার চৌধুরীপাড়া, নাইট্যংপাড়া, জালিয়াপাড়া, কুল্লালপাড়া, নাজিরপাড়া, পল্লানপাড়া, কায়ুকখালীয়াপাড়া, অলিয়াবাদসহ অন্তত ১৩টি গ্রামে ভূকম্পন দেখা দিচ্ছে। এসব এলাকার মানুষ খুবই আতঙ্কে রয়েছেন।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আদনান চৌধুরী বিকেল চারটার দিকে বলেন, ওপারের বিস্ফোরণের প্রভাবে টেকনাফে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। স্থানীয় জেলেদের ঝুঁকি নিয়ে নাফ নদীতে মাছ শিকার করতে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *