আন্তর্জাতিক

মিয়ানমারে ৬৫০ জান্তা সেনার আত্মসমর্পণ

ভারত সীমান্তের কাছে মিয়ানমারের শহর খামপাতের দখল হারিয়েছে জান্তাবাহিনী। জাতীয় ঐক্যের সরকার (এনইউজি) ও বিদ্রোহী গোষ্ঠী চিন ন্যাশনাল অর্গানাইজেশন সম্মিলিতভাবে শহরটির দখল নেওয়ার দাবি করেছে। এদিকে, গত ২৭ অক্টোবর তিন বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সম্মিলিত অভিযান অপারেশন-১০২৭ শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত সাড়ে ৬ শ’রও বেশি জান্তা সেনা আত্মসমর্পণ করেছে।

চিন ন্যাশনাল আর্মির মুখপাত্র সালাই লিয়ান পি জানিয়েছেন, বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরেই ভারত সীমান্তের নিকটবর্তী শহর খামপাতের দখল ছেড়ে দিয়ে পিছু হটেছে মিয়ানমারের দখলদার জান্তাবাহিনী। এমনকি জান্তা সেনারা বিমানবাহিনীর কাছ থেকে ব্যাপক সহায়তা পেয়েও শহরটি ধরে রাখতে পারেনি।

সালাই লিয়ান পি এক বিবৃতিতে মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম ইরাবতীকে বলেছেন, ‘জান্তা সৈন্যরা ছোট ছোট দলে বিভক্ত হয়ে পিছু হটেছে। তাদের মনোবল কম ছিল।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা তাদের পিছু ধাওয়া করছি এবং এলাকার বাসিন্দাদের জান্তা সৈন্যদের থেকে দূরে থাকতে বলছি।’

খামপাত শহরটি ভারতের সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের পশ্চিম সাগাইন অঞ্চলে কালাই-তামু মহাসড়কের পাশে অবস্থিত। গত মাসেও একবার বিদ্রোহ গোষ্ঠীগুলো এই শহরটিকে গ্রহণ করেছিল। সালাই লিয়ান পি জানিয়েছেন, জান্তাবাহিনীর ২২৮ ও ৩৯১ লাইট ইনফ্যান্ট্রি ব্যাটালিয়নের ২ শতাধিক সৈন্য খামপাত শহরটি দখলের চেষ্টা করেছিল। কিন্তু ব্যর্থ হয়।

এদিকে, গত ২৭ অক্টোবর থেকে চীন সীমান্তসংলগ্ন অঞ্চলের বিদ্রোহী গোষ্ঠী তা’আং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি, দ্য মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স আর্মি ও আরাকান আর্মি জান্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে সম্মিলিতভাবে অপারেশন ১০২৭ শুরু করে। সেই অপারেশন শুরু পর থেকে বিগত প্রায় ২ মাসে এই তিন বাহিনীর কাছে সাড়ে ৬ শতাধিক জান্তা সৈন্য আত্মসমর্পণ করেছে। সর্বশেষ শান রাজ্যের সাখান ঠিট কোনে নামক একটি ঘাঁটির প্রায় ১৫০ জন জান্তা সেনা আত্মসমর্পণ করেছে।

গত সোমবার রাতে তা’আং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মির কাছে ওই দেড় শতাধিক সৈন্য আত্মসমর্পণ করে। এর আগে, বিগত ২৭ অক্টোবরের পর থেকে শান রাজ্যে অন্তত ৪৫০ জন সেনা তা’আং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি, দ্য মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স আর্মি ও আরাকান আর্মি জান্তা বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করে। এই সময়ে এই তিন বাহিনী জান্তাবাহিনীর অন্তত ২৭০টি ঘাঁটি দখলে নিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *