জাতীয়

শিক্ষকদের মর্যাদা ও বেতন বাড়াতে কাজ করছে সরকার

শিক্ষকের মর্যাদা ও বেতনের বিষয়টি নিয়ে সরকার কাজ করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। শনিবার (৪ মে) সকালে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে দেয়া এক পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

শিক্ষামন্ত্রীর বরাতে ওই পোস্টে উল্লেখ করা হয়েছে, শিক্ষার্থীদের মধ্যে যারা পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পার করেছে, তারা যেন মাধ্যমিক পরীক্ষা পর্যন্ত আসতে পারে এবং তারা যেন ঝরে না পড়ে, সেটা নিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য। আর শিক্ষকের মর্যাদা ও বেতনের বিষয়টি নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

পোস্টে শিক্ষক ও অভিভাবকরা বিভিন্ন মন্তব্য করেছেন। রিয়াজ রহমান নামে এক অভিভাবক মন্তব্য করেছেন, পঞ্চম শ্রেণির পরে কেউ ঝরে পড়ে না, ঝরে পড়ে স্কুল থেকে কলেজে ওঠার সময়। আর কলেজ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সময়।

আসাদুজ্জামান আসাদ নামে এক শিক্ষক মন্তব্যের ঘরে লিখেছেন, মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় দয়া করে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বেতন ভাতা নিয়ে একটু কাজ করুন। এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের পরিবার খুব কষ্টে দিনাতিপাত করছে।

উল্লেখ্য, দেশে এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা প্রায় ৩৩ হাজার। প্রায় ছয় লাখের মতো শিক্ষক ও কর্মচারী যারা মান্থলি পে-অর্ডার বা মাসিক বেতন আদেশের মাধ্যমে সরকারের নিকট থেকে বেতন পান। একজন সাধারণ শিক্ষক স্কুল বা মাদ্রাসায় যোগদান করার শুরুতে বেতন পান ১২,৭৫০ টাকা। বিএড থাকলে আরও কয়েক হাজার বেশি পান।

প্রতি বছর ৫ শতাংশ হারে বেতন বৃদ্ধি পায় এবং একজন সাধারণ শিক্ষকের অবসরের সময় বেতন দাঁড়ায় প্রায় ২৮ হাজার টাকা। সরকারি স্কেল অনুযায়ী প্রধান শিক্ষক বেতন পায় ৩৩-৩৪ হাজার টাকা। ঈদ উৎসব ভাতা শিক্ষকদের জন্য বেতনের ২৫ শতাংশ আর কর্মচারীদের জন্য বেতনের ৫০ শতাংশ। পহেলা বৈশাখে ২০ শতাংশ হারে উৎসব ভাতা পেয়ে থাকেন।

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের এ দেশের প্রায় ৯৫ শতাংশ শিক্ষার্থী লেখাপড়া করে ৩৩হাজার বেসরকারি মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায়। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক-কর্মচারীর সংখ্যা প্রায় ৬ লাখ। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শিক্ষক-কর্মচারীর অবস্থা আরো নাজুক। শিক্ষকরা বেতন বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন, স্বারকলিপি ও বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করলেও এখন পর্যন্ত কোন ইতিবাচক সারা দেয়নি সরকার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *