চট্টগ্রাম

‘শিশুশ্রমের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে’

শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী বলেছেন, ‘শিশুশ্রম নিরসনে মাঠ পর্যায়ের জেলা ও উপজেলা প্রশাসন এবং সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোর ভূমিকা রয়েছে। শিশুশ্রমের কুফল কী তা সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে। এর বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। বিদ্যালয়ে শিশুশিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।’

বৃহস্পতিবার (৩০ মে) চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ হোটেলে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে শিশুশ্রম নিরসন বিষয়ক এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় এবং ইউনিসেফের সহযোগিতায়; কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতর এবং শ্রম অধিদফতরের বাস্তবায়নে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

শিশুশ্রম নিরসনে সরকারের উদ্যোগ তুলে ধরে কর্মশালায় প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকার শিশুশ্রম মোকাবিলায় জাতীয় পর্যায়ে উল্লেখযোগ্য নীতি গ্রহণ করেছে। ২০২৫ সালের মধ্যে শিশুশ্রম নিরসনের জন্য জাতীয় কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। কলকারখানা পরিদর্শন অধিদফতরে জনবল বৃদ্ধিসহ জনসচেতনা কার্যক্রম সারা দেশে চলমান রয়েছে।

‘আমরা শিশুশ্রম নির্মূল করতে চাই। উন্নত জাতি গঠনে শিশুশ্রম নিরসনের কোনও বিকল্প নেই। শিশুদের সুশিক্ষিত করে দক্ষ কারিগরে রূপান্তরিত করতে হবে। সরকারের একার পক্ষে শিশুশ্রম নিরোধ করা অনেক কঠিন। সবার সহায়তায় এ কাজ করা সম্ভব হবে। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গঠনে শিশুশ্রম প্রধান অন্তরায়। তাই সবাইকে শিশুশ্রম নিরসনে সচেতন হয়ে কাজ করে যেতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘স্বাধীনতা লাভের পর বঙ্গবন্ধু শ্রমজীবী মানুষের কল্যাণ ও অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করে গেছেন এবং তারই ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ১৯৭২ সালে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থায় বাংলাদেশ সদস্য পদ লাভ করে। শিশুদের অধিকার ও কল্যাণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু ১৯৭৪ সালে জাতীয় শিশুনীতি প্রণয়ন করেন। তারই ধারাবাহিতায় বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিশুশ্রম নিরসনে নিরলসভাবে কাজ করছেন। বাংলাদেশ সরকার ইতোমধ্যে ৪৩টি সেক্টরকে ঝূঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে শিশুশ্রম নিষিদ্ধ করার জন্য আইন পাস করেছে।’

কর্মশালায় বিভাগীয় কমিশনার তোফায়েল ইসলামের সভাপতিত্বে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুব হোসেন, অতিরিক্ত সচিব জাহাঙ্গীর হোসেন, যুগ্মসচিব হাজেরা খাতুন, ইউনিসেফের চট্টগ্রাম বিভাগীয় ফিল্ড অফিসের চিফ মিস মাধুরী ব্যানার্জী, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান, বান্দরবান জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন, খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান বক্তৃতা করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *