আন্তর্জাতিক

স্ত্রী-সন্তানের খোঁজে বাংলাদেশে মার্কিন নাগরিক

মার্কিন নাগরিক গ্যারিসন লুটেল আর বাংলাদেশি নারী ফারহানা করিমের বিয়ে হয় ২০১৮ সালে। এই দম্পতির ৩ বছর বয়সী এক পুত্রসন্তানও হয়। তবে সম্প্রতি গর্ভবতী অবস্থায় ফারহানা বাংলাদেশে আসে। এরপর থেকেই স্ত্রী-সন্তানের সাথে সব যোগাযোগ বন্ধ করে দেন তিনি। বাংলাদেশ থেকেই স্বামীকে বিচ্ছেদের নোটিশও পাঠান ফারহানা। আর এরপই উদ্বিগ্ন গ্যারিসন ছুটে আসেন বাংলাদেশে। সন্তানদের জন্য এখন এই মার্কিন নাগরিক বাংলাদেশের আদালতের শরণাপন্ন হয়েছেন।

জানা গেছে, ফারহানাকে ভালোবেসে খ্রিস্টান ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম গ্রহণ করেছেন গ্যারিসন। এরপর বিয়ে করেন ফারহানাকে। যুক্তরাষ্ট্রে এ দম্পতির নিজস্ব বাড়ি ছিল।

গ্যারিসন লুটেলের আইনজীবী ব্যারিস্টার সজীব মাহমুদ আলম গণমাধ্যমকে জানান, চলতি বছরের শুরুর দিকে ফারহানা দ্বিতীয়বার অন্তঃসত্ত্বা হন। এ সময় ‘মা-বোনের সঙ্গে থাকা জরুরি’ এমন অজুহাত দেখিয়ে বাংলাদেশে চলে আসেন তিনি। দেশে ফিরে তিনি স্বামীর সঙ্গে যোগাযোগ বিছিন্ন করে দেন। তবে সন্তানদের কথা চিন্তা করে গ্যারিসন নিয়মিত ফারহানাকে টাকা পাঠিয়ে আসছিলেন।

এরই মধ্যে একদিন স্ত্রীর কাছ থেকে বিচ্ছেদের নোটিশ পান। এরপরই গত আগস্টে স্ত্রী-সন্তানদের খোঁজে বাংলাদেশে আসেন গ্যারিসন। তবে ফারহানা দেখা করতে চান না তার সাথে। এক পর্যায়ে উত্তরা থানা পুলিশ ও যে হোটেলে তিনি থাকতেন সেই হোটেল কর্তৃপক্ষের সহায়তায় ফারহানার বাসায় যান গ্যারিসন। সেখানে গিয়ে জানতে পারেন, ফারহানা কানাডিয়ান এক ব্যক্তির সঙ্গে বসবাস করছেন। তিনি কানাডিয়ান ওই ব্যক্তিকে বিয়ে করেছেন বলেও দাবি করেন। সেই সাথে এই সন্তান গ্যারিসন নয় বলেও দাবি করেন ফারহানা।

এক পর্যায়ে বাধ্য হয়ে সন্তানের জন্য বাংলাদেশের আদালতে রিটের আবেদন করেন গ্যারিসন। সেই আবেদনের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) আদেশ দেন আদালত। আদেশে আদালত বলেছেন, সপ্তাহে দুদিন শনি ও মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত দুই শিশুসন্তানের সঙ্গে দেখা করতে পারবেন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক গ্যারিসন লুটেল। মামলার পরবর্তী শুনানি ১৬ জানুয়ারি নির্ধারণ করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *