দেশজুড়ে

হিটস্ট্রোকে মারা যাচ্ছে দিনে লক্ষাধিক মুরগি

চলমান তাপপ্রবাহের ফলে হিটস্ট্রোক করে সারাদেশে লাখ-লাখ মুরগি মারা যাচ্ছে। গড়ে প্রতিদিনে যার মূল্য দাড়ায় ২০ কোটি টাকা। এ অবস্থা চলমান থাকলে আগামী দিনে ব্রয়লার মুরগি ও ডিম সংকটে পড়তে পারে দেশ।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) পোলট্রি খামারিদের সংগঠন বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. সুমন হাওলাদার এ শঙ্কা প্রকাশ করে বিজ্ঞপ্তি দেন। এ সংকট মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।

পোলট্রি খামারিরা এখন উভয় সংকটে রয়েছে দাবি করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মুরগির বাচ্চার সংকটে ২৮ থেকে ৩০ টাকা উৎপাদন খরচের মুরগির বাচ্চা খামারিদের দ্বিগুণ দামে ৮০ থেকে ৯০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। এখন চলমান তাপপ্রবাহের ফলে হিটস্ট্রোকের কারণে সারাদেশে প্রতিদিন প্রায় এক লাখ মুরগি মারা যাচ্ছে। এই ভয়ানক পরিস্থিতিতে, ডিম ও মুরগি উৎপাদন ৪ থেকে ১০ শতাংশ পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পেয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ঈদের পর গত ১০ থেকে ১২ দিনে সারাদেশে ১০ লাখের বেশি ব্রয়লার, লেয়ার ও সোনালী মুরগি মারা গেছে। এরমধ্যে ৮০ শতাংশই ছিল ব্রয়লার মুরগি। এতে মোট ক্ষতির পরিমাণ ২০০ কোটি টাকায় দাঁড়াবে। এই অবস্থা চলতে থাকলে খামারগুলো বন্ধ হয়ে যাবে; ডিম ও মুরগির উৎপাদন কমে যাবে।

এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে কর্পোরেট ডিম ও মুরগি সরবরাহকারীরা ও তেজগাঁও-ভিত্তিক ডিম সিন্ডিকেট ডিম ও মুরগির সংকট তৈরি করা হচ্ছে বলে জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে। বলা হয়, জুন থেকে তারা দাম বাড়াতে শুরু করবে। আগস্ট থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ডিম ও মুরগির দাম মারাত্মকভাবে বাড়বে।

সরকারের প্রতি পোল্ট্রি খামারিদের রক্ষা করার আহ্বান জানিয়ে মো. সুমন হাওলাদার বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে খামারিদের মুরগির বাচ্চা ও পোল্ট্রি ফিডে ভর্তুকি দিয়ে উৎপাদনে ধরে রাখতে হবে। সরবরাহ শৃঙ্খল বজায় রাখতে হবে। এতে করে বাজারে সংকট সৃষ্টি হবে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *